দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতির জন্য সক্রিয় থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা থাকায় গত শুক্রবার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকলেও ডিজিটাল প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে দলটি। দলের একাধিক নেতা দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ‘এটা কোনো বিশেষ নির্বাচন নয়। সকল সাধারণ নির্বাচনের মতই এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতার কারণে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ থাকলেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। মোবাইল এসএমএস, ফেসবুক পোস্ট ও টুইটারের মাধ্যমে ভোট চাওয়া ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

নেতারা আরও বলেন, ‘১৫৩টি সংসদীয় আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনী আমেজে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। তবে যে ১৪৭টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশেই নির্বাচন হচ্ছে। ভোট ছাড়াই বেশিরভাগ আসনে নির্বাচিত হওয়ায় হার-জিত নয় ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোই এখন আওয়ামী লীগের একমাত্র টার্গেট।

এ দিকে শনিবার সকাল থেকে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার জন্য আহ্বান জানিয়ে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠাচ্ছেন নির্বাচন কমিশন। ওই এসএমএস এ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে জানিয়ে নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৪১টি দলের মধ্যে ১২টি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে রবিবার ৫৯টি জেলায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচন কেবল বর্জনই নয়, প্রতিহতের ডাকও দিয়েছে বিরোধীদলীয় জোট। ইতোমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে ভোটবিরোধীরা। ভোটের দিন এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমি কিছুদিন কয়েকটি জেলায় নির্বাচনী সফরে ছিলাম। দেখলাম, যে সব আসনে ভোট হচ্ছে, সেখানে বেশ উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোটের প্রস্তুতি চলছে।’

ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তো একটি সাধারণ নির্বাচন। অতীতের নির্বাচনগুলো যেভাবে হয়েছে সেভাবেই হবে। ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে ডিজিটাল প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা যাতে আসেন সেই জন্য দলীয় প্রার্থীরা ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করছেন।’

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘৫ জানুয়ারি ভোট হবে। ভোটের দিন কোথাও কোনও নাশকতার চেষ্টা দেখলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’

বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়, সে জন্য নির্বাচন কমিশন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কমিশনকে সহায়তার জন্য মাঠে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রয়েছে।’

এ দিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ১৮ হাজার ২০৮টি কেন্দ্রে এবার ভোট হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে নাশকতার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘প্রায় ১৮ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোট রয়েছে। সেখানে দুই-একটি কেন্দ্রে নাশকতার ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক।’

(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এমসি/ এমডি/এসআই/জানুয়ারি ০৪, ২০১৪)