শেখ রাসেলের কষ্টার্জিত জয়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেতে রীতিমতো ঘামঝরাতে হয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে। শুক্রবার অপেক্ষাকৃত কমশক্তির দল চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
লিগের প্রথম ম্যাচে উত্তর বারিধারার বিপক্ষে গোল উৎসবে মেতেছিলেন মারুফুল হকের শিষ্যরা। ৪-০ গোলে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল তাদের। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপেক্ষ সেই তেজটা দেখা যায়নি ব্লুজ শিবিরে।
ফেভারিটদের কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে ১৩ মিনিটেই এগিয়ে গেছে চট্টগ্রাম। মাসুক মিয়া জনির থ্রো থেকে বল পেয়ে শেখ রাসেলের বিপদ সীমানায় ঢুকেছেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ন্যাপোলিয়ন গাবরিয়েল। পরে ২ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ন্যাপোরিয়নের শট অভিজ্ঞ গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ৩ মিনিট পরই বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে গোল পরিশোধ করেছেন ব্লুজের বিদেশি (ফ্রান্স) মিডফিল্ডার ম্যাক্সিম। পরে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকলেও ১-১ গোলে সমতায় থেকে বিরতিতে গেছে ২ দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভালো সুযোগ পেয়েছে ঢাকার বাইরের দলটি। ৪৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে আতিকুর রহমানের শট বিপ্লব অসম্ভব দক্ষতার সঙ্গে ফিরিয়ে না দিলে ফের এগিয়ে যেতে পারতো চট্টগ্রাম। ৬০ মিনিটে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে আকাশী শিবির। আবদুল হান্নানের চিপে বল গিয়ে পড়ে রাসেলের বক্সে। গোলরক্ষক বিপ্লবকে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সোহেল মিয়া। আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার উপড় দিয়ে মারলেও বল জাল খুঁজে পায়নি।
৬৫ মিনিটে ভুল করেননি উইনিস রক্স। জ্যামাইকান মিডফিল্ডার রিকার্ডোর কাছ থেকে বল পেয়ে কোণাকোণি শটে জাল কাঁপিয়েছেন রাসেলের মরোক্কান এ ফরোয়ার্ড। ৭৫ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। তবে প্রতিপক্ষের বিপদ সীমানায় আবদুল হান্নানের কাছ থেকে বল পেয়ে ন্যাপলিয়নের শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে এসেছে। ফিরতি বলে শট নেন আতিকুর রহমান। তার শট লেগেছে বল পোস্টে। শেষ পর্যন্ত ব্যবধানে হেরফের হয়নি।
৩-৩-১-৩ ফরমেশন রপ্ত করতে পারেননি দলের ফুটবলাররা। ম্যাচ শেষে এমনটাই জানিয়েছেন শেখ রাসেলের কোচ মারুফুল হক। প্রতিপক্ষ দলের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম আবাহনী খুব ভালো দল। গত ম্যাচে হারলেও দারুণ খেলেছে। ওদের ৩ থেকে ৪ জন ফুটবলার খুবই কুশলী। এ ম্যাচে ওদের কম্বিনেশন ভাঙতে খুবই কষ্ট হয়েছে। এ ম্যাচেও দলকে খেলিয়েছি ৩-৩-১-৩ ফর্মেশনে। দলের ফুটবলাররা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। সত্যি বলতে কী, এই ফর্মেশনে না খেলিয়ে আমার কোনো উপায় নেই। কেননা, আমার রিজার্ভ বেঞ্চ দুর্বল। ভালো ব্যাক-আপ প্লেয়ার নেই।’
অন্যদিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক কোচ আবু তাহের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘ম্যাচে প্রাধান্য ছিল আমাদেরই বেশি। প্রথম গোলও আমরাই করলাম। তারপরও জিততে পারলাম না। দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কী। লিগের জন্য আমাদের দলটি ২ মাস নিরবিচ্ছিন্ন অনুশীলন করেছে। মাঠে আমাদের দলের প্লেয়ারদের মধ্যে সমঝোতা ছিল বেশ ভালো। আমরা খেলেছি ৫-১-৩-১ ফর্মেশনে। আক্রমণাত্মক ফুটবলই আমাদের মূলমন্ত্র।’
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/সা/জানুয়ারি ৪, ২০১৪)