দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রতিন্দ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহিদুর রহমান সহিদের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পরপরই ঢাকা-৬ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে চলে জাল ভোটের মহোৎসব। প্রতিটি কেন্দ্রের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী কাজী ফিরোজের লাঙ্গল প্রতীকে লাইন ধরে ভোট দিতে দেখা গেছে।

বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ওয়ারীর সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের গেটে দেখা যায়, সেখানে শুধুমাত্র কাজী ফিরোজ রশিদের কর্মী সমর্থকরা দাঁড়িয়ে আছে। ৩টা ২৩ মিনিটের দিকে ভেতরে গিয়েও দেখা যায়, কাজী ফিরোজ রশিদ সমর্থকরা লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন।

এ সময় আশেপাশে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের দেখা যায়নি। বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল মোত্তালিব চঞ্চল দোতলা থেকে নিচে নেমে আসেন।

প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল মোত্তালিব চঞ্চল উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কোনে ঝামেলা হয়নি।’

কত শতাংশ ভোট পড়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘৬টি বই দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বইয়ে ১০০ ব্যালট পেপার ছিল। সে হিসেবে ৬০০ ভোট হয়তো পড়েছে।’

আব্দুল মোত্তালিব চঞ্চল বলেন, ‘এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৬২৫ জন। সে হিসেবে ২০% ভোট পড়েছে।’

কেন্দ্রে বহিরাগতদের জাল ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘না এরা ভোটার।’

এ ছাড়া একই চিত্র সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, জুবলি স্কুল, কামরুন্নেসা বিদ্যালয়ে লক্ষ করা গেছে।

এর আগে দুপুর ২টার দিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ঢাকা-৬ আসন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহিদুর রহমান সহিদ। তার প্রতীক ছিল হাতি।

নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে সাহিদুর রহমান সহিদ বলেন, ‘আমার ওপর হামলা হয়েছে। কাজী ফিরোজের সন্ত্রাসীরা আমরা উপর হামলা করেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে জাল ভোটের মহোৎসব চলছে। তাই এই প্রহসনের নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম।’

(দ্য রিপোর্ট/সাআ/এইচএসএম/এনআই/জানুয়ারি ০৫, ২০১৪)