‘প্রহসনের নির্বাচন জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সরকারের এই প্রহসনের নির্বাচনকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার রাতে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোটাররা এই তামাশার নির্বাচনকে শুধু প্রত্যাখ্যানই করেনি, বরং সরকারের একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল প্রয়াসকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। এই নীলনকশার নির্বাচন ব্যর্থ হওয়াতে সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো নৈতিক অধিকার নেই।’ তিনি অবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান।
দলীয় প্যাডে নিজের স্বাক্ষর করা এই বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নির্বাচন বর্জনে সাড়া দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি অভিনন্দনও জানান। একই সঙ্গে তিনি নির্বাচনে ভোটগ্রহণে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটারবিহীন ও প্রহসনের এই নির্বাচনে ১৫৩ জন প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে বিজয়ী করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১৪৭ আসনের সাজানো নির্বাচন এখন সরকারের জন্য বুমেরাং হয়ে পড়েছে। জনগণ ঘৃণাভরে এই নির্বাচন সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এমন অসংখ্য কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে ভোট প্রদানের সংখ্যা শূন্য। কোথাও কোথাও ১-৫ শতাংশ ভোট পড়েছে মাত্র।’
ফখরুল দাবি করে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী, জাতীয় পার্টি, জাসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেকেই ভোট কারচুপি ও সরকারি ত্রাসের কারণে এই নির্বাচন বর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের আজ্ঞাবহ বশংবদ নির্বাচন কমিশন এবং সাজানো প্রশাসন দিয়েও সরকার এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে পারেনি। এটা ক্ষমতাসীনদের জন্য মর্মান্তিক ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে।’
‘বিরোধী দলের আহ্বান উপেক্ষা করে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন’- আওয়ামী লীগের নেতা তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যকে মিথ্যাচার হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/টিএস-এমএইচ/এমসি/এসএ/জানুয়ারি ০৫, ২০১৪)