কাজী জামশেদ নাজিম, দ্য রিপোর্ট : ভোটের দিন ও তার আগে-পরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্থায়ী ‘আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেল’ গঠন করা হলেও নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি। এই সেলের সদস্যদের ভোটের দিন টিভি দেখে আর চা পান করেই সময় কাটাতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, নির্বাচনের দিন সারাদেশে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন। এ সময় মনিটরিং সেল ছিল তথ্য শূন্যতায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, তারা টিভি দেখছে, গল্প করছে। তাদের কাছে কোনো তথ্য ছিল না।

এ বিষয়ে সেলের তত্ত্বাবধায়নকারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘মনিটরিং সেল আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য। এটা জেলখানা নয় যে কোনো ব্যক্তি টিভি দেখতে পারবেন না। বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের কাছে খোঁজখবর এসেছে, তা সমাধানে সেল সদস্যরা কাজ করছেন।’

সারাদেশে কতজন লোক নিহত হয়েছেন ও পুলিশ নির্বাচনী নিরাপত্তা দায়িত্ব পালনে কী কী সমস্যায় পড়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সারা দিন কী কী ঘটেছে, তা নিবন্ধকের কাছে আছে।’

পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ হতাহতের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও পুলিশ সদস্যরা নিহত হয়েছেন সম্প্রতি রাজনৈতিক সহিংসতায়। এ সব বিবেচনা করে নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা সমন্বয়ের জন্য গঠন করা হয় এই মনিটরিং সেল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিভিন্ন বাহিনী থেকে ৫ জন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২ জন নিয়ে ৭ সদস্যের এ মনিটরিং সেল গঠন করা হয়। সেলের তত্ত্বাবধায়নকারী হিসেবে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন, সমন্বয়কারীর দায়িত্বে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (রাজনৈতিক) মো. মোজাক্কের আলী। মনিটরিং সেলের অন্য সদস্যরা হলেন পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মো. তছলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সহকারী পরিচালক লে. কমান্ডার এম শফিকুল আলম ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার লে. এন মাশরিক-উর-রহিম।

(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন/এসবি/শাহ/জানুয়ারি ৬, ২০১৪)