ক্ষমতাসীনদের পাশে থাকবে ভারত
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্য কোনো দেশ সমর্থন না জানালেও ভারত আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিল। দেশটির বিশ্লেষকরা একে বাংলাদেশের সাংবিধানিক নির্দেশনার দিক থেকে দেখছে। আরও জানা গেছে, নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশের যে কোনো কূটনৈতিক বিপদে ক্ষমতাসীনদের পাশে থাকবে ভারত।
বিবিসি বাংলা অনলাইন এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটিতে কয়েক কূটনৈতিক ও বিশ্লেষকের মন্তব্য দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়, নির্বাচনকে নিয়ে বিতর্ক সত্ত্বেও ভারত মনে করছে এর মধ্যে অনৈতিক বা সংবিধানবহির্ভূত কিছু নেই, তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলাও অবান্তর।
ঢাকায় দায়িত্ব পালন করা সাবেক রাষ্ট্রদূত দেব মুখার্জী সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, পুরোপুরি সংবিধান মেনে ও যে সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন করা প্রয়োজন সে অনুযায়ীই এ নির্বাচন হচ্ছে, তাই এটা সম্পূর্ণ বৈধ।
এক সময় ঢাকায় দায়িত্ব পালন করা সাবেক হাইকমিশনার বীনা সিক্রি বলেন, মনে রাখতে হবে, এ নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে দুটো কারণে– তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথার বিলোপ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধীদের সৃষ্ট সহিংসতার কারণে। এরকম নজিরবিহীন সহিংসতা বাংলাদেশকে কখনো কোনও সরকারকে সামলাতে হয়নি।
তিনি আরও বলছেন, তার পরও এ নির্বাচন তাদের করতেই হতো, কারণ তা না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট ও শূন্যতা তৈরি হতো! ফলে নির্বাচনটা যে এখন হচ্ছে, সেটা কোনও সমস্যা নয়– বরং তাতে ভালোই হয়েছে।
পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক ও মেইনস্ট্রিম সাময়িকীর সম্পাদক সুমিত চক্রবর্তী বলেন, সরকারিভাবে এটাই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান– কিন্তু বেসরকারিভাবে যেটা দিল্লি বলছে না, সেটা হলো জামায়াত বা হেফাজতে ইসলামের মতো শক্তিগুলোর উত্থান নিয়ে তারা ভীষণ উদ্বিগ্ন– এ শক্তিগুলোই এবারের নির্বাচনকে অন্য একটা মাত্রা দিয়েছে বলে দিল্লির ধারণা।
প্রতিবেদনটি আরও বলছে, গত কয়েক মাসের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে ভারত স্থির করে ফেলেছে তাদের সমর্থন থাকবে বাংলাদেশের সাংবিধানিক নির্দেশনার দিকে।
এদিকে রবিবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, নির্বাচনের পর বাংলাদেশ যাতে বড় ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও নিন্দার মুখে না পড়ে, সে জন্য ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাই বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো ও বিভিন্ন ফোরামের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছে ভারত।
এ ছাড়া সারাবিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচনের খবর প্রকাশিত হয়েছে। সে সব খবরের বড় অংশ ছিল বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন ও দেশজুড়ে সহিংসতা।
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এসবি/শাহ/জানুয়ারি ৬, ২০১৪)