প্রণোদনা বিষয়ে এ সপ্তাহেই ঘোষণা আশা করছেন ব্যবসায়ীরা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বস্ত্র খাতে বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ঘোষণা আসবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বস্ত্র খাতে বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করতে সোমবার সচিবালয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতারা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম এবং বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজিএমইএ নেতারা।
বৈঠকের শুরুতে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ব্যবয়ারীদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা শুধু আলোচনা করবো। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলামের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তাই কিছু বলারও নেই।’
একই বিষয়ে জানতে চাইলে বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম তাদের দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অর্থমন্ত্রীর কাছে আমরা পাঁচটি দাবি জানিয়েছি। এগুলো হচ্ছে- আপদকালীন সময়ের জন্য এফওবি মূল্যের ওপর ৩ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদান; স্বল্প সুদে কারখানা শ্রমিকদের চার মাসের বেতনের সমপরিমাণ ব্যাংক ঋণ যা দুই বছরে পরিশোধ করা হবে; উৎস কর দশমিক ৮০ শতাংশ থেকে দশমিক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং টিটি’র (টেলিফোনিক/টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার) বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রদান।
তিনি বলেন, এর মধ্যে টিটি’র বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অন্যান্য দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দু-এক দিনের মধ্যেই তিনি এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।’
উল্লেখ্য, চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গত ১১ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রীর কাছে ৮ দফা দাবি জানান বস্ত্র খাতের তিন সংগঠনের (বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ) নেতারা।
তাদের দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে উৎস কর দশমিক ৮০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সেটা দশমিক ২৫ শতাংশ করা; নতুন বেতন স্কেল অনুযায়ী গার্মেন্টস শ্রমিকদের চার মাসের (নভেম্বর ’১৩- ফেব্রুয়ারি ’১৪) বেতন ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে প্রদান এবং এই অর্থ একটি সুদবিহীন ব্লকড এ্যাকাউন্টে রেখে ২ বছর মেয়াদে প্রদানের সুযোগ; সব ধরনের মেয়াদি ঋণ/প্রকল্প ঋণ/এলটিআর/এমপিআই/ফোর্সড ২ বছরের জন্য সুদবিহীন ব্লকড এ্যাকাউন্টে রাখা; লোন চলমান পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্প খাতের কোনো ব্যাংক ঋণ শ্রেণীবিন্যাসিত না করা; রফতানি আয়ের উপর প্রতি ডলারের বিনিময় হারে ৩ টাকা হারে বিশেষ বোনাস প্রদান, টিটি’র বিপরীতে বিশেষ প্রণোদনা প্রদান ইত্যাদি।
(দ্য রিপোর্ট / এসআর / এমডি /এমএইচ/ জানুয়ারি ০৬, ২০১৪)