দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : বর্তমান বিশ্বে ঘটে চলা বিভিন্ন অসঙ্গতির অন্যতম কারণ ধর্মীয় ও জাতিগত দ্বন্দ্ব। রাজনীতির প্রশ্নে অনেকেই এই দুটিকে প্রধান কারণ্ও বলছেন। বলা হচ্ছে, বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৫৬টি ধর্মীয় সংঘাত চলছে। এমন সংঘাত থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো মুক্ত নয়। এখানে সাম্প্রদায়িকতা জোরদার হচ্ছে ধর্মীয় রাজনীতির পৃষ্টপোষকতায়। এমনই সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক গণবক্তৃতা ও সম্মিলিন।

আয়োজনে ছিলো বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী। এই গণবক্তৃতার শিরোনাম ছিল ‘ধর্ম ও রাজনীতি : দক্ষিণ এশিয়া’। ৪ ও ৫ অক্টোবর আয়োজিত এই গণবক্তৃতায় অংশগ্রহণ করেন দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশের আমন্ত্রিত বিশেষজ্ঞরা। সম্মেলনে বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক আবুল বারাকাত, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক তারিক রহমান (পাকিস্তান), অধ্যাপক মুশিরুল হাসান (ভারত), মনিশংকর আয়ার (ভারত), অধ্যাপক রিয়াজ পাঞ্জাবি (ভারত), আর্য বিদ্যাসেকারা (শ্রীলংকা), রোহান গুনারত্না (শ্রীলংকা) ও সাইয়েদ হায়দার ফারুকী মওদুদী (পাকিস্তান)।

অনুষ্ঠানে আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে প্রাধান্য পায় এই অঞ্চলের সাম্প্রদায়িকতা ও সেক্যুলারিজমের ইতিহাস, এর বিভিন্ন ধরনের উপাদান, উৎস, বিকাশ এবং সমাধান, বহুত্ববাদ, সাম্প্রতিক দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ও তার বিচারসহ বিভিন্ন বিষয়। মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে বক্তারা সেক্যুলারিজম ও বহুত্ববাদী সংস্কৃতির পৃষ্টপোষকতার দাবি জানান। তারা এই অঞ্চলে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতি জোর দেন।

(দিরিপোর্ট২৪/ডব্লিউএস/এইচএস/অক্টোবর ০৬, ২০১৩)