কর্মী ছাটাই, সাবধান!
দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : নানা কারণে প্রতিষ্ঠানে কর্মী ছাটাই করা হয়। তবে এখন থেকে কর্মী ছাটাইয়ের আগে কর্মকর্তাদের আরও একবার ভাবতে হবে। কারণ, ভারতের পশ্চিম দিল্লিতে ছাটাই হওয়া এক নারীকর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে হত্যা করেছে বসের ছেলেকে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
চাকরি থেকে ছাটাই হওয়ায় ভারতের পশ্চিম দিল্লির মিয়ানওয়ালিতে ২৬ বছর বয়সি আশা তার বসের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। হত্যা করার পর একই ছুরি দিয়ে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
হত্যার অপরাধে আশাকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
‘নিহাল বিহারে’র বাসিন্দা আশা সুশীল গুপ্তের শেয়ার ট্রেডিং অফিসে কম্পিউটার অপারেটর পদে তিন বছর ধরে চাকরি করে আসছিলেন। সম্প্রতি সুশীল তার শেয়ারের ব্যবসা গুটিয়ে রিয়েল এস্টেটে মূলধন বিনিয়োগ করেন। রিয়েল এস্টেট ব্যবসাটি দেখাশোনা করে মূলত তার ছেলে ভারুন গুপ্ত। সুশীল শেয়ার ব্যবসা বন্ধ করায় আশার চাকরি চলে যায়।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে সকাল সাড়ে ১০টায় আশা সুশীলের বাড়ি ‘অ্যাম্বিকা বিহারে’ যায়। এ সময় বাড়িতে সুশীলের স্ত্রী অনিতা, ছেলে ভারুন ও মেয়ে সোয়াতি উপস্থিত ছিল। এর আগেও আশা প্রায়ই ঐ বাড়িতে যেত বলে কেউ তাকে সন্দেহ করেনি।
সুশীলের স্ত্রী অনিতা জানান, তিনি রান্নাঘরে ছিলেন এবং সোয়াতি ছিল তার বেডরুমে। এ সময় হঠাৎ ড্রয়িংরুমে ভারুনের চিৎকার শুনে তিনি দৌঁড়ে যান। ওখানে তিনি ভারুনকে ছুরিকাহত ও আশাকে ছুরি হাতে দেখতে পান। আশা এ সময় ঐ ছুরি দিয়েই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। বাধা দেয়ার সময় আশা তাকেও আঘাত করে। এতে তার হাতের সামান্য অংশ কেটে যায়।
পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ব্যবসায়ী সুশীল গুপ্তের সঙ্গে তার কর্মচারী আশার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের কথা সুশীলের স্ত্রী অনিতা ও তার ছেলে ভারুনও জানত বলে পুলিশের ধারণা।
পুলিশের কাছে আশা বলেন, ভারুনের কারণেই তার চাকরি চলে গেছে। এজন্য প্রতিশোধ নিতে তিনি ভারুনকে খুন করেন।
ডিসিপি (পশ্চিম) রনবীর সিং বলেন, ‘আশাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।’
(দিরিপোর্ট২৪/এসকে/এমডি/অক্টোবর ২৮, ২০১৩)