দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে ১৩ জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের। ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সভায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার কাজে স্থানীয় বিত্তবানদেরও সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী নাহিদ।

হামলার জন্য জামায়াত-শিবির-বিএনপি জোটকে দায়ী করে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতিতে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

সভায় মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর এ ধরনের জঘন্য, বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জামায়াত-শিবিরসহ বিএনপি জোট নির্বাচন ঠেকানোর নামে পেট্রোল ও গান পাউডার দিয়ে দেশের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। এ সব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ।

মন্ত্রী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টে ক্ষতিগ্রস্ত ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শনে যাবেন।

সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব কাজী আখতার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব এসএম আশরাফুল ইসলাম, যুগ্মসচিব রূপন কান্তি শীল, যুগ্মসচিব হারুনুর রশিদ, যুগ্মসচিব গিয়াস উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এপি/সা/জানুয়ারি ০৬, ২০১৪)