দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : লন্ডনের একটি পুকুরে আটকা পড়া আহত একটি হাঁসকে উদ্ধার করলেন ২১ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী। তারা এ কাজে ব্যবহার করেছেন ৬টি গাড়ি। গত রবিবার এ ঘটনা ঘটে।

হিসাব করে দেখা গেছে, এই হাঁসটিকে উদ্ধার করতে লন্ডনবাসীর করের টাকা থেকে ২ হাজার ইউরো খরচ করতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। খবর মিরর নিউজের।

শুধু তাই নয়, লন্ডনে বিভিন্ন প্রাণীর জীবন রক্ষার জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করা হয়। এ তথ্য উঠে এসেছে মিরর নিউজের অনুসন্ধানে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১০ সালের পর গত ৩ বছরে লন্ডনের গৃহপালিত প্রাণী উদ্ধারে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ইউরো খরচ হয়েছে।

লন্ডনের অগ্নিনির্বাপক কর্মীরাই মূলত এই উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকেন। গত তিন বছরে লন্ডন অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা প্রায় ১ হাজার ৮০০ উদ্ধার কাজ চালিয়েছেন বলেও অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ডিসেম্বরে লন্ডনের একটি ইগুয়ানাকে (গিরগিটি) বাড়ির ছাদ থেকে নামিয়ে আনতে ১০ কর্মী এক ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেন। একই মাসে কাদাতে আটকে যাওয়া এক গরু উদ্ধার করেছেন ২৯ কর্মী।

এ ছাড়াও গত বছরে একটি বিড়ালকে টেলিগ্রাফ খুঁটি থেকে নামিয়ে আনতে ৫ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী ব্যয় করেন ১১ মিনিট।

পূর্ব সাসেক্সের একটি বাথরুমের ভেতরে কিছু কাক ঢুকে পড়লে সেখানে ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেন শহরটির অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা। আবার লিংকনশায়ারে প্রায় ২০০ ইউরো ব্যয় করে একটি কবুতরকে গাছ থেকে নামিয়ে আনেন চার জনের একটি টিম।

লন্ডনের চেশায়ারের ১৯ জন কর্মী ১২৫ মিনিট চেষ্টার পর একটি রাজহাঁসকে উদ্ধার করেন। একই স্থানে একটি কবুতরকে জাল থেকে উদ্ধার করতে কাজ করেন ১৯ জন কর্মী।

এছাড়াও লন্ডনের বিভিন্ন স্থানে প্রতি মাসেই এ রকম অসংখ্য ঘটনা ঘটছে, যেখানে একাধিক অগ্নিনির্বাপক কর্মী কাজ করেন এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকার একটি বড় অংশ খরচ হয়।

লন্ডনের অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা বব রেটক্লিফ বলেন, আমাদের প্রধান দায়িত্ব পাবলিক সেফটি। তবে আমরা এর পরেই পশুপাখির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করি।

(দ্য রিপোর্ট/এআইএম/এইচএসএম/ এনআই/জানুয়ারি ০৬, ২০১৪)