সামনে সংঘাত!
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ঢাকার দোহারে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যশোরের গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ৫ জানুয়ারি দেশের অর্ধেক স্থানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ১৯ জনের মৃত্যুর হিসাব ধরলে বলতে হয়, বড় বেশি দাম দিতে হয়েছে ১০ম সংসদ নির্বাচনের জন্য।
নির্বাচনের পরে এক মন্ত্রী অবশ্য এই সব প্রাণহানিকে স্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন। সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা এই একপক্ষীয় নির্বাচনের সাফল্যে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন। ভাবসাবে মনে হচ্ছে প্রতিপক্ষকে বুদ্ধি ও কৌশলে হারিয়ে তারা এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রাজনৈতিক সহিংসতা দমনে আরও কঠোর হবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সরকারপক্ষের এই বচন-বাচনে মনে হচ্ছে গদি তারা সহজে ছাড়তে নারাজ।
এর বিপরীতে বিরোধী দল তাদের ডাকা লাগাতার অবরোধের সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করে চলেছে। সব কিছু মিলিয়ে এই নির্বাচন জাতির সামনে কোনো আশার আলো ফেলতে পারেনি। বরং দু’পক্ষকে সেই আত্মঘাতী পথে দাঁড় করে রেখেছে, যে সর্বনাশা পথ থেকে জাতিকে সহসা বের করে আনা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। জনগণের শান্তি ও স্বস্তির কথা মাথায় রেখে উভয়পক্ষকে অহম ত্যাগ করে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।