মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের বিষয়ে নিরীক্ষকের মন্তব্য
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের নিরীক্ষক আহমেদ জাকির অ্যান্ড কোং ২০১৩ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য তৈরি করা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ‘এমফাসিস অব মেটার’ অনুচ্ছেদে নিম্নবর্ণিত মতামত দিয়েছে।
"আমাদের মতামত কোয়ালিফাইং করা ছাড়াই কোম্পানির 'গোইং কনসারন' হিসেবে টিকে থাকার বিষয়ে আর্থিক বিবরণীর নোট নং ২.০১ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
" নোট ২.০১: 'গোইং কনসারন': কোম্পানির আর্থিক বিবরণীসমূহ গোইং কনসারন-এর ধারণার ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সুদূর ভবিষ্যতেও ব্যবসা চলমান থাকবে।
এটা অনুমান করা যাচ্ছে যে, কোম্পানির অবসায়ন ঘটানো বা উৎপাদন কমানোর কোনো ইচ্ছা বা প্রয়োজন নেই।
চলতি হিসাব বছরে অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৩ তারিখে কোম্পানির নিট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৩০ হাজার ৬১ টাকা এবং পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি ৮০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭১ টাকা এবং কোম্পানির চলতি দায় চলতি সম্পদ অপেক্ষা ২১ কোটি ৪৪ লাখ ৭৩ হাজার ৪৪৮ টাকা বেশি, যা পুরোপুরি দৃষ্টিগোচরযোগ্য এবং গ্যারান্টি পুনর্গঠন করার পর্যায়ে রয়েছে।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ অন্বেষণের মাধ্যমে সম্পদ সংগ্রহ করে চলতি মূলধন সংকট দূর করে সুদূর ভবিষ্যতে কোম্পানির পরিচালন অব্যাহত রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। ব্লক ঋণ সুবিধার বাইরে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান-কর্তৃক প্রদত্ত বর্তমান ঋণ সুবিধা কোম্পানির গোইং কনসারন হিসেবে টিকে থাকার পথে প্রধান অন্তরায়। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজারজাতকরণসহ অন্য উৎস থেকে আয় করার মাধ্যমে টিকে থাকার চেষ্টা করছে।"
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএন/সা/জানুয়ারি ৭, ২০১৪)