‘ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘দেশের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে। সে সব অঞ্চলে যৌথবাহিনীর অভিযান কঠোরভাবে চালানো হবে যাতে করে দ্রুতই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে।’ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নির্বাচনকালীন সহিংসতায় অগ্নিদগ্ধ ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে দেখতে এসে পুলিশ আইজি (মহাপরিদর্শক) হাসান মাহমুদ খন্দকার এ কথা বলেন।
‘এত কঠোর অবস্থায় থাকার পরেও নির্বাচনকালীন ও পরবর্তী সময়ে পুলিশ এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে। এ হামলা কি প্রমাণ করে পুলিশ ব্যর্থ?’ সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নে আইজি বলেন, ‘পুলিশ ব্যর্থ না। তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে।’
এ সময় হাসান মাহমুদ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল অবস্থান করছে। অপরাধীদের ধরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইজিপি ডিএমসির চতুর্থ তলায় চিকিৎসারত প্রিসাইডিং অফিসার সাইদুল ইসলামকে (৪৭) দেখতে যান। নির্বাচনের দিন গাইবান্ধার গবিন্দগজ্ঞ ডিগ্রি কলেজের সামনে পেট্রোবোমায় দগ্ধ হন তিনি। প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার রাতে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। সাইদুল ইসলামের সঙ্গে থাকা আবুল কালাম আজাদও (৪৪) দগ্ধ হন।
এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরের রামগজ্ঞ কোমল তলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হন ইমাম উদ্দিন (৪৮)।
আনসার সদস্য আব্দুল্লাহ (৫৫) নির্বাচনের দিন ভোর ৪টায় হবিগজ্ঞ জেলার বানিয়াচং থানার সরূপখানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তিনি নিজের তহবিল থেকে দগ্ধদের ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়ারও ঘোষণা দেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজির আহমেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ও রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন তালুকদার।
(দ্য রিপোর্ট/এনইউডি/এফএস/এমডি/সা/জানুয়ারি ০৭, ২০১৪)