কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা : বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন স্বজনরা।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কিশোরী ফেলানী ভারত থেকে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে বাংলাদেশের নিজ বাড়িতে ফেরার সময় বিএসএফ’র গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারায়। প্রায় ৪ ঘণ্টা তার লাশ ঝুলে থাকে কাঁটাতারের বেড়ায়।

এ ঘটনাটি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মীদের কাছে সমালোচিত হয়। লাশের ছবি দেখে দেশ-বিদেশের মানুষের হৃদয়ে নাড়া দেয়। খোদ ভারতের গণমাধ্যমগুলোর সোচ্চার ভূমিকায় অবশেষে কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। আদলতে সাক্ষী দেন প্রত্যক্ষদর্শী ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ও মামা আব্দুল হানিফ। অবশেষে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে ৬ সেপ্টেম্বর বিশেষ আদালত বেকসুর খালাস দেয়।

অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ বেকসুর খালাস পাওয়ায় ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এবং ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে ন্যায় বিচারের আবেদন করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার বিএসএফ’র উচ্চ আদালতে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারের ঘোষণা দেন।

এ ঘটনার পর ৩ বছরে সীমান্তে নিহত হয়েছে ৩ বাংলাদেশি। আহত ও অপহরণ হয়েছে প্রায় ৫০ জন। বিভিন্ন সময় সীমান্ত বৈঠকের পরও থামেনি বিএসএফ’র গুলিবর্ষণ ও নির্যাতন।

ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও ভারত সরকার পুনঃবিচারের কার্যক্রম শুরু না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তার স্বজন ও সীমান্তবাসীরা।

(দ্য রিপোর্ট/জেআইজে/এপি/সা/জানুয়ারি ০৬, ২০১৪)