দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ভারতের ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য লোকসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি (এএপি) অধিকাংশ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়ার পর নির্বাচনের গতিবিধি অনেকটাই পাল্টে গেছে।

এএপি লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার আগ পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও কংগ্রেসের মধ্যেই ক্ষমতা দখলের লড়াই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে সাড়াজাগানো নতুন দলটির লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণায় এখন নতুন করে হিসাব কষতে হচ্ছে।

নয়া দিল্লির রাজ্যসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন এএপির জয়লাভ ইতোমধ্যে কংগ্রেস ও বিজেপিকে সতর্কবার্তা প্রদান করেছে। জাতীয় নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি ও এখন পর্যন্ত নেতৃত্ব নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকা কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী রাহুল গান্ধীর জন্য বড় হুমকির কারণ হতে পারে এএপি।

সন্দেহাতীতভাবেই এএপির রাজনৈতিক প্রজ্ঞা অনেক ঝানু রাজনীতিককেই শেখাতে পারবে। নতুন দলটির কাছ থেকে রাজনীতির ক্ষেত্রে অনেক কিছু শেখার আছে বলে স্বীকারও করেছেন অনেকে। এমনকি রাহুল গান্ধীও এএপির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলে জানিয়েছেন।

আরেক কংগ্রেস নেতা ও ইউনিয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ সম্প্রতি বলেছেন, এএপির উত্থান প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সতর্কবার্তা। প্রতিষ্ঠিত দলগুলো যদি জনগণের কথা না শোনে, তাহলে শিগগিরই তারা ইতিহাসের অংশ হবেন বলে জানান তিনি।

তবে বিজেপি এএপির ব্যাপারে মুখ খোলার ক্ষেত্রে বেশ সাবধানী। নয়া দিল্লিতে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করায় এএপির বিরুদ্ধে অস্ত্র শানাচ্ছে বিজেপি।

যদিও এখন পর্যন্ত দেশটির প্রধান বিরোধী দল বিজেপি জনপ্রিয়তায় কংগ্রেসের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি দেশটির কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনে সেটা প্রমাণও করেছে বিজেপি। তবে দৃশপটে এএপি প্রবেশ করায় বিজেপি কংগ্রেসের চেয়ে এএপিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষ করে বিজেপির ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোতে এএপির প্রাধান্য থাকায় বিজেপি কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে।

২০১৪ সালের নির্বাচনে এএপি কয়টা আসন পাবে তা বলা মুস্কিল। তবে নতুন এই দলটি যে ভারতের প্রধান দুইটি দলের ঘুম হারাম করে দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সূত্র: জিনিউজ।

(দ্য রিপোর্ট/কেএন/এসকে/জানুয়ারি ০৭, ২০১৪)