যশোর সংবাদদাতা : স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর হিংসাত্মক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন যশোর জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

স্থানীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এই অভিযোগ উত্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সরকার পেটোয়াবাহিনী হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিপীড়ন ও নির্যাতন করছে এবং উদোরপিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যশোরের অভয়নগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ঘটিয়েছে নৌকার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগ নেতা ও জাতীয় সংসদের হুইপ অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা। এটি শুধু আমাদের কথা নয়, ভোটারবিহীন নির্বাচনে বিজয়ী নৌকা মার্কার প্রার্থী রণজিৎ রায়ও হুইপের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছেন। অথচ এই ঘটনা আড়াল করার জন্য বিরোধী দলের উপর দায় চাপাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।

যশোরের মণিরামপুর, চৌগাছা, রূপদিয়া, অভয়নগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা অংশ নিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও দলীয় কর্মীদের বাবা-মা, ভাই-বোনদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে বলেও নেতৃবৃন্দ অভিযোগ তোলেন।

নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা বানের জলে ভেসে আসিনি। সরকারি দল ও প্রশাসন যদি দমন-পীড়নের পথ থেকে বেরিয়ে না আসে তা হলে আমরাও শক্তি প্রয়োগের ভিন্ন পথ বেছে নিতে বাধ্য হবো।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামছুল হুদা, নগর বিএনপির সভাপতি পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ, সেক্রেটারি মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা সহ-সভাপতি রফিকুর রহমান তোতন, অ্যাডভোকেট মুহম্মদ ইসহাক, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/জেএম/এমএইচও/ এনআই/জানুয়ারি ০৭, ২০১৪)