জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে কারখানা পরিদর্শক নিয়োগের তাগিদ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরে’ জনবল নিয়োগের বিষয়ে জোর দেবে সরকার। এ ক্ষেত্রে জনবল নিয়োগের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি পুনর্বহাল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখাসহ অন্যান্য কার্যাদি বাস্তবায়নের লক্ষে গঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এই তাগিদ দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
উল্লেখ্য, প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০১৩ সালের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানে ২ শ’ জন অতিরিক্ত পরিদর্শক নিয়োগের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৪৩ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সভায় জিএসপি ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত ‘বাংলাদেশ অ্যাকশন প্ল্যান’ এবং শ্রমমান উন্নয়নে ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
এ প্রসঙ্গে শ্রম আইনের আওতায় বিধিমালা জরুরি ভিত্তিতে জারি করার বিষয়ে সময়সীমা নির্ধারণ এবং জনসাধারণের প্রবেশযোগ্য একটি ডাটাবেজ তৈরির জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয়ে সকলে একমত হন বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়।
শ্রম আইনের বিধিমালা করার বিষয়ে সভায় বলা হয়, গত বছরের ১৫ জুলাই জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ শ্রম আইন পাস হয়। শ্রম সচিবের নেতৃত্বে এই আইনের বিধিমালা প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি থেকে গঠিত ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে খসড়া বিধিমালা প্রণয়ন করেছে।
ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, ট্রেড ইউনিয়নের সুরক্ষা ও ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যদের সুরক্ষা প্রদানের বিষয়ে অ্যাকশন প্ল্যানে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পে এ পর্যন্ত ২১৫টি ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন করেছে। ২০১৩ সালে ৭৯টি (ঢাকায় ৬৫টি ও চট্রগ্রামে ১৪টি) শ্রম পরিদফতরে নিবন্ধিত হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকে অন্যান্য ইস্যু দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে বৈঠক থেকে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও দফতরকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সক্রিয় কারখানা ভবন কাঠামো, অগ্নিনিরাপত্তা নিরূপণের পরিকল্পনা গ্রহণ, প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োজনবোধে কারখানা বন্ধ করা বা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করার বিষয়ে অ্যাকশন প্ল্যানে জোর দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আইএলও-এর সহায়তায় ‘ত্রি-পক্ষীয় কমিটি’ কর্তৃক সকল চালু তৈরি পোশাক কারখানা ভবন, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এজন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ৩০টি টিম গঠন করা হয়েছে। টিমগুলো এ পর্যন্ত ১৬০টি কারখানা পরিদর্শন সম্পন্ন করেছে।
শ্রম, অগ্নি ও ভবন স্ট্যান্ডার্ড সম্পর্কিত সরকার কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থার অগ্রগতি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরে বর্তমান ৫০ জন অগ্নিপরিদর্শক নিয়োগের বিপরীতে ২৬০টি পদ সৃষ্টি সরকারের অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর বর্তমান ৮৪টি পদের বিপরীতে ১৩২টি পরিদর্শকের পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এস আর/এসবি/ এনআই/জানুয়ারি ০৭, ২০১৪)