তারেক সালমান ও মাহমুদুল হাসান, দ্য রিপোর্ট : লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভা্ইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সামনে রেখে সরকার বিরোধী আন্দোলন চা্ঙ্গা করতে চাইছে বিএনপি। ভোটের আগের দিন তারেক রহমানের নির্বাচন প্রতিহত করার আহ্বানের প্রভাব পড়ে ভোটের মাঠে। এর প্রভাবেই ভোটারবিহীন নির্বাচন করে দেশ-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপির নেতৃত্ব। ভোটের পরের দিন পুনরায় সংবাদ মাধ্যমে তারেকের সরব উপস্থিতি কর্মীদের ব্যাপকভাবে চাঙ্গা করে তোলে। তারেকের এই উপস্থিতি মাঠ-পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নতুন নির্দেশনা দিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে রাজনীতিতে তারেকের নতুন উত্থান ঘটছে বলেও মনে করছেন বিএনপির সংশ্লিষ্টরা ও রাজনীতি বিশ্লেষকরা। সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার যে চেষ্টা হচ্ছে তা ঠেকাতে এই মুহূর্তে তারেক রহমানই প্রধান নায়ক হয়ে উঠবেন বলেও তারা মনে করছেন। এভাবে হারানো ইমেজ ফিরে পেলে দেশে ফিরেই বিএনপির হাল ধরবেন তারেক। দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নতুন সরকার গঠনের পরেও মাঠের আন্দোলন ধরে রেখে স্বল্প সময়ের মধ্যে আন্দোলন তীব্রতর করতে না পারলে রাজনৈতিক অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়তে পারে। সেকারণে তারেকের উপস্থিতি জরুরী বলে মনে করছেন তারা।

বিরোধীদলকে নেতৃত্বশূন্য করার চেষ্টা ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতয়িাজ আহমেদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘সরকার সমঝোতায় যত দেরি করবে তারেক রহমান দেশের মানুষের কাছে ততই জনপ্রিয় হবেন।’ তিনি বলেন, সরকারের উপদেষ্টারা প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ দিচ্ছেন নাকি বিরোধীদলের পক্ষে কাজ করছেন, বোঝা বড় মুশকিল। কারণ এই পরিস্থিতি বিরোধী দলের পক্ষে যাচ্ছে। তারেক রহমানকেও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে।’

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন ও কর্মসূচির সমন্বয় করতে যে নেতাই দায়িত্বপালন করছেন, সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশের হাতে আটক বা গ্রেফতার হচ্ছেন। গত ২৯ ডিসেম্বর সরকারের প্রবল বাধায় বিরোধীদল ঘোষিত ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি(গণতন্ত্রের অভিযাত্রা)’ পণ্ড হওয়ার পর সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবেই এক আলোচনা সভায় বক্তব্য শেষে চলে যাওয়ার সময় ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে। একই দিন বিকেলে রাজধানীর বারিধারা থেকে আটক হন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ। একই সময় আটক হলেও পড়ে ছাড়া পান বিরোধীদলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, লায়ন হারুনুর রশিদ, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।

মঙ্গলবারই সন্ধ্যায় গুলশানের নিজের বাসায় এ সব নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান। সংবাদ সম্মেলন শেষ করার আধা ঘন্টার মধ্যেই ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে ও তার বাসার কেয়ারটেকার নুর আলীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

এছাড়া, ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে-‘সরকার তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে।’

দীর্ঘ প্রায় দু’সপ্তাহ যাবত তিনি বাসা থেকে বের হতে পারছেন না পুলিশী বাধায়। এমনকি এ সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে দলের ও দলের বাইরের কোনো লোকজনকেও দেখা-সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে স্বয়ং খালেদা জিয়া ও বিএনপি অভিযোগ করে আসছে।

খালেদা জিয়ার ছাড়াও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব পুলিশের ভয়ে দীর্ঘদিন যাবত আত্মগোপন করে আছেন। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্রি.জে.(অব.) আ স ম হান্নান শাহও প্রায় মাসাধিককাল আগে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে রয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শিল্পপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, বর্তমান সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, সিনিয়র সহসভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদসহ অন্য নেতারা।

এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে বের হওয়ার পর ডিবি পুলিশ আটক করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলের ও জোটের নেতাকর্মী-সমর্থকদের মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা করছেন খালেদা জিয়াও। এজন্য সোমবার বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেছেন, ৫ জানুয়ারির ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও সে সরকার হবে সম্পূর্ণ অবৈধ। এটা হবে ক্ষণস্থায়ী সরকার। সেই লক্ষ্যে চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিএনপির নেতারা জানান, নির্বাচন প্রতিহতে আন্দোলনে ঘোষিত কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতেই লন্ডনে অবস্থানকারী দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সামনে নিয়ে আসা হয়। শনিবার তিনি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নির্বাচন প্রতিহতের ডাক দেয়ায় নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেন। তার আহ্বানে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ব্যাপক সাড়া খুব আশাব্যঞ্জক ও এতে ভালো ফলও পাওয়া গেছে। তবে এভাবে এই আন্দোলনকে কতদিন সচল রাখা সম্ভব- এনিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে দলটি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান আন্দোলন ধরে রাখার বিষয়ে দ্য রিপোর্টকে বলেন, আন্দোলন নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয়। বরং সরকারের একতরফা ও প্রহসনের জনধিকৃত নির্বাচনের পর আমরা উজ্জীবিত হয়েছি। তিনি বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচনে দুইটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে পড়েছে। তা হলো-ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেশের কোনো মানুষ নেই, শুধু মাত্র তাদের প্রভুরাষ্ট্র ভারত ছাড়া। অথচ বিএনপির সঙ্গে দেশের ৯৫ ভাগ জনগণ আছে। তা প্রমাণ হয়ে গেছে, নির্বাচনে মাত্র ৫ ভাগ মানুষের ভোট দেওয়ার ঘটনায়।

এ্যাডভোকেট আজম বলেন, বিএনপি এমন একটি দল যারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। যে সরকার শুধু একজন মাত্র লোকের ব্যক্তিগত লাভালাভের জন্য দেশের মানুষের মতামতের তোয়াক্কা না করে দেশের সংবিধানকে পরিবর্তন করেছে। তিনি বলেন, আমরা জনগণের দাবি আদায়ে আন্দোলনের পাশাপাশি বার বার সংলাপ ও সমঝোতার আহ্বান বলে এসেছি। কিন্তু সরকার কোনো সময়ই সংলাপ-আলোচনায় বিশ্বাস করেনি। শুধু চাপার জোরে স্বভাবজাত মিথ্যা বুলি দিয়ে জনগণকে ভুলাতে চেয়েছে। এরপরও আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখনও আলোচনার দাঁড় খোলা রেখেছেন। সরকার শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিলে তাদের জন্য মঙ্গল। না হলে জনগণের সহযোগিতায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটানো হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে এ্যাডভোকেট আজম বলেন, তারেক রহমান দেশের তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় ও পরীক্ষিত নেতা। ভবিষ্যতে তিনি অবশ্যই দলের নেতৃত্ব দেবেন। তার গতিশীল নেতৃত্বে শুধু বিএনপি নয়, দেশও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।

সূত্র মতে, বিএনপিসহ ১৮ দল এবার ‘অবৈধ’ ও ‘অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে সরকার হঠানোর লক্ষ্যে নতুন করে আন্দোলনে গতি আনার চেষ্টা করবে। সেজন্য বর্তমান নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদ পর্যন্ত অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত টার্গেট করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সরকারকে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেয়ার চেষ্টা করা হবে। প্রথমত, চলতি সংসদ বহাল থাকাবস্থায় আন্দোলনকে তীব্রতর করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিলে সরকারের ওপর চাপ প্রবল করা, দ্বিতীয়ত: সেটি সম্ভব না হলে স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই একাদশ নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করার কৌশল নিয়েছে বিরোধী দল।

এ ব্যাপারে ১৮ দল শরিক এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ সোমবার নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলে আন্দোলন থামানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাবো, সব বিভেদ-প্রতিহিংসা ভুলে সংলাপের মাধ্যমে নতুনভাবে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন। তাহলে কেবল দেশে শান্তি ফিরে আসবে।

১৮ দলের আন্দোলন চলমান রাখতে পারা নিয়ে অলি আহমদ বলেন, সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের জোট নির্বাচন বাতিল করে সংলাপের কথা বলেছে। কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির তারেক রহমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাও যথার্থ। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, সরকারকে প্রথমে বলতে হবে, তারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ করে অতিদ্রুত নির্বাচন করবে। তাহলেই কেবল আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়টি আমরা পুনর্বিবেচনায় আনতে পারি।

এদিকে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন দিতে বর্তমান সরকারকে বাধ্য করতে না পারার জন্য ১৮ দলের মধ্যে এখন চলছে হিসাব-নিকাশ। শরিকদের কেউ কেউ বলছেন, জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ না করায় বিরোধী দলকে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। অবশ্য কারও বক্তব্য ভিন্ন, তাদের মতে-আন্দোলন যতটুকু হয়েছে সেটিতে জামায়াতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিরোধীদের মতে, আন্দোলনের নামে ‘সহিংসতা’ চালানোর কারণে বিরোধী জোটের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

জোটের এক শরিক দলের প্রধান বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে ১৮ দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণে কিছু তো ভুল ছিল। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারলে পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে উঠতো না।

বিএনপি নেতাদের মতে, তারা এবং জামায়াত ছাড়া জোটের অন্য শরিকদের আন্দোলনে কোনো ভূমিকাই ছিল না। বিএনপির অভ্যন্তরেও এনিয়ে রয়েছে মতভিন্নতা। দলটির সিনিয়র নেতাদের মতে, প্রকৃত কর্মীদের মূল্যায়ন না করায় আন্দোলন গতি পায়নি। এবারের আন্দোলনের প্রক্রিয়া থেকে বিএনপিকে শিক্ষা নেয়া উচিত বলে মত প্রকাশ করেন তারা।

আন্দোলন ছাড়া কোনো গতি নেই দাবি করে ১৮ দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আন্দোলন থেকে পিছু হটার কোনো জায়গা বিরোধীদলের সামনে নেই।’ তিনি বলেন, ‘নিয়ম রক্ষা বা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা অথবা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর জেদ পূরণ যাই হোক দেশে একটি ভোটার বিহীন ও প্রহসনের নির্বাচন করেছে সরকার। এখন শান্তি, স্থিতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকারকে অবশ্যই সমঝোতায় আসতে হবে। আর সরকারকে সমঝোতায় আসতে বিরোধীদলকে অবশ্যই কঠোর আন্দোলন করে বাধ্য করতে হবে।’

ইরান আরও বলেন, ‘গত দুয়েকদিন বিরোধীদলের আন্দোলনে কিছুটা ঢিলেমি লক্ষ্য করেই এই স্বৈরাচারী সরকার সারাদেশে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের উপর নতুন করে দমন-পীড়নে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ থেকে বিরোধীদল নিশ্চিহ্নের লক্ষে এগিয়ে যাবে সরকার। তিনি জানান, জোটের প্রধান খালেদা জিয়া শরিকদের মতামতের ভিত্তিতেই কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছেন। সরকার যদি এখনও সংশোধন না হয়, তাহলে আমরা অসহযোগের মতো কঠিন কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হবো।’

(দ্য রিপোর্ট/টিএস-এমএইচ/এনআই/জানুয়ারি ৭, ২০১৪)