দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে চলেছে। ১৬ জানুয়ারি স্থগিত কেন্দ্রসমূহের ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচিত এমপিদের গেজেট প্রকাশ হলেই নতুন পার্লামেন্ট মেম্বাররা শপথ নিবেন।

ইতঃপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী ২৭ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। সোমবার নির্বাচনোত্তর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সব দলকে নিয়ে সরকার গঠনের কথা বলেছেন। পাশাপাশি তিনি পার্লামেন্টে বিরোধী দল থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন।

এবারের নির্বাচনে কিছু সংখ্যক স্বতন্ত্র সদস্য ছাড়া বাকিরা সকলেই মহাজোট সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার এবং এবারের আওয়ামী লীগের জোট শরীকরা পরস্পর সিট ভাগাভাগি করে এমপি হয়েছেন। যে কারণে এ সব রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে নির্বাচিত এমপিরা সকলেই দশম পার্লামেন্টের অংশ হিসেবেই বিবেচিত। তুল্যমূল্য বিচারে আগামীতে সংসদ থাকছে কার্যত বিরোধী দলহীন।

সরকারি বাসভবন গণভবনের সবুজ চত্বরে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সকলকে নিয়েই সরকার গঠনের কথা বলতে গিয়ে পার্লামেন্টে বিরোধী দল থাকার কথাও তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তার এই ইচ্ছাপূরণে নিজ কাফেলার কোনো না কোনো শরিককে বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। কে যাবে সেই বিরোধী দলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। যদি কেউ যায় তাহলে তাদের কোন বায়না শেখ হাসিনাকে পূরণ করতে হয়, সেটিও এখন দেখার বিষয়।

সরকারি হোক বা বিরোধী হোক আগামী পার্লামেন্টের এরা সবাই একই নৌকার যাত্রী। সামগ্রিক প্রেক্ষাপট, রাষ্ট্রবিজ্ঞান আর রাজনীতির কষ্টিপাথরে যাচাই করে বলাই যায়, আগামীতে গঠিত সরকারের নাম যাই হোক তা হবে এককেন্দ্রিক। পার্লামেন্ট হবে বহুদলের নামে এক গোত্রীয় পার্লামেন্ট। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়ে গঠিত এই পার্লামেন্ট এবং সরকার কতটা জনপ্রত্যাশার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।