দ্য রিপোর্ট কূটনৈতিক প্রতিবেদক : সদ্য সমাপ্ত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান সহিংসতা নিয়ে এবার হতাশা প্রকাশ করেছে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের প্রত্যাশার প্রতি সাড়া দিয়ে অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফেরার এবং অর্থবহ সংলাপ শুরুর তাগিদ দিয়েছে তারা।

পৃথক বিবৃতিতে মঙ্গলবার দেশ দুটি এ প্রতিক্রিয়া জানায়। এর আগে একই বিষয় নিয়ে হতাশাব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও কমনওয়েলথ। আর ভারত বলেছে, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন ছিল।

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা বিবৃতিতে বলেন, কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ জনগণের মৃত্যু এবং আহত হওয়ার ঘটনায় জাপান নিন্দা জানাচ্ছে। জাপান সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং শান্তিপূর্ণ জনসাধারণের ওপর হামলাসহ যেকোনো ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছে। এছাড়া নির্বিচারে গ্রেফতার এবং নির্বাচনে বিঘœ সৃষ্টি করারও নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণের সহিংসতামুক্ত ও ভীতিমুক্ত পরিবেশে নিজস্ব ইচ্ছার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন করার ইচ্ছার ব্যাপারে জাপান সচেতন। তাই আমরা খুবই হতাশ যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো সমঝোতা হলো না। জনগণ যাতে ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারে শিগগিরই তেমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে জাপান মনে করে।

রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী জোটকে দায়ী করে অস্ট্রেলীয় সরকারের মুখপাত্র জুলিয় বিশপ বিবৃতিতে বলেন, রবিবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় দেশটি মর্মাহত। নির্বাচনের আগেই বিপুলসংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এবং ভোটের দিন কম ভোটারের অংশগ্রহণের বিষয়ে দেশটি হতাশ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলগুলো এমন কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি, যাতে একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পাওয়া সম্ভব হয়। জনগণ বা তাদের সম্পদের ওপর হামলা, সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। অহিংসা, অংশগ্রহণ, সমঝোতা ও আলোচনার ভিত্তিতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে অস্ট্রেলিয়া সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।

(দ্য রিপোর্ট/জেআইএল/এএস/জানুয়ারি ৮, ২০১৪)