রাজশাহী সংবাদদাতা : ১৮ দলের ডাকা ৬০ ঘণ্টার হরতালের তৃতীয় দিনে রাজশাহীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিএনপির অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতালের সমর্থনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী কলেজের সামনে থেকে রাজশাহী জেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সোনাদিঘী মোড়ে রাস্তার ওপর বসে সমাবেশে মিলিত হন নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দেয় এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে দলীয় নেতাকর্মীসহ আশপাশের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি করতে থাকেন।

পরে নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিকুল আলম সমাপ্ত জানান, পুলিশ বিনা উসকানিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালায়।

নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে তারা। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৫ জনকে আটক করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এদিকে, হরতালের কারণে রাজশাহী থেকে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা রুটের কোনো বাস ছাড়েনি। নগরীর অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট রয়েছে বন্ধ। সকালে রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে সব রুটের ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া অটোরিকশাসহ হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি বিজিবির টহল অব্যাহত রয়েছে।

(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/এএস/জেএম/অক্টোবর ২৯, ২০১৩)