দ্য রিপোর্ট চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত দু’জন বুধবার মারা গেছেন। এদের মধ্যে বাঁশখালীর একজন এবং হাটহাজারীর একজন।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাছান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত জহিরুল ইসলাম বুধবার মারা গেছেন। ভোর ৬টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

নিহত জহির উপজেলার পশ্চিম চাম্বল ডেপুটিঘোনা গ্রামের মৃত শামসুল আলমের ছেলে। এই ঘটনায় আহত তার ভাই হেফাজতুল ইসলামও বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও জামায়াত জহিরুলকে তাদের কর্মী বলে দাবি করলেও নিহতের ভাই বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হেফাজতুল ইসলাম জানান, তার ভাই এবং পরিবারের কেউ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।

তিনি জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুবলীগ নেতা আবুল কাসেমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তার ভাইকে হত্যা করেছে।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া বোর্ড মাদরাসার সামনে সহিংসতার শিকার হন রাশেদ। তিনি বুধবার সকাল ১০টায় নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

হাটহাজারী থানার ওসি মো. ইসমাইল জানান, পিকেটারদের হামলায় রাশেদ মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। প্রথমে তাকে নাজিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাকে মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে তিনি মারা গেছেন।

রাশেদের ফুপাত ভাই মো. জাবেদ ইকবাল জানান, রবিবার ভোট দেওয়ার জন্য আগের দিন শনিবার বিকেলে নগরী থেকে লোকাল অটোরিক্সায় বাড়ি যাচ্ছিলেন রাশেদ। বিকেল ৫টার দিকে চারিয়া এলাকায় বোর্ড মাদরাসার সামনে আকস্মিকভাবে কয়েকজন পিকেটার অটোরিক্সার ওপর হামলা চালায়। তারা বড় বড় লাঠি দিয়ে রাশেদের মাথায় আঘাত করে এবং অটোরিক্সাটি ভাঙচুর করে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএস/এনডিএস/এএল/জানুয়ারি ৮,২০১৪)