নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পুড়ছে খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা : নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পুড়ছে খাগড়াছড়ি জেলার তিন উপজেলা পানছড়ি, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙা। নির্বাচনের পর দিন থেকে এ তিন উপজেলায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ সব ঘটনায় বিএনপির প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ তিন উপজেলায় বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সহিংস ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানছড়ি উপজেলা। তবে এ সব সহিংস ঘটনার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পরস্পরকে দায়ী করছে।
নির্বাচনের পর দিন খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে আওয়ামী লীগের হামলায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরু হোসেন শিমুল আহত হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাল্টা হামলা চালান। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। একই দিন জেলার মানিকছড়িতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলার ঘটনায় অন্তত বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ১৫ নেতাকর্মী আহত হন।
জেলার মাটিরাঙায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে গত তিন দিন ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অন্তত ১১ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি সেনা ও বিজিবি টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ মামলার পর খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পানছড়ি থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরু হোসেন শিমুলকে আটক করেছে।
পানছড়ি আওয়ামী লীগের সম্পাদক জয়নাথ দেব অভিযোগ করেন, দশম সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অপরাধে বিএনপিকর্মীরা এ সব সহিংসতা ঘটিয়েছে।
পানছড়ি বিএনপির সভাপতি মো. বেলাল হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের লোকজনের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সাজানো। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করার জন্যই এ সব ঘটনা সাজানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ কর্মীরাই বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছেন।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ বলেন, ‘ঘটনায় বিএনপির প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে পৃথক ৪টি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেশব চক্রবর্তী জানান, সেখানে বিএনপির ৪২ নেতাকর্মীকে আসামি করে ২টি মামলা করা হয়েছে। তবে মাটিরাঙায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন খান।
(দ্য রিপোর্ট/এইচএমপি/এমসি/শাহ/জানুয়ারি ৮, ২০১৪)