দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে মন্ত্রণালয় গঠন করতে বললেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।

রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সুরঞ্জিত বলেন, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে দেশ বিধ্বস্ত। যারা সম্প্রদায়িক শক্তি রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সংখ্যালঘুদের বিষয়ে মন্ত্রণালয় করার দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, অন্য দেশে যেমন সংখ্যালঘুদের বিষয়ে মন্ত্রণালয় রয়েছে তেমনি বাংলাদেশেও এমন মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।

সংখ্যালঘুদের নির্যাতন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এ বিষয়ে নতুন আইন করা প্রয়োজন। কঠোর আইন করতে হবে। এটির কোন বিকল্প নেই, এটিকে অগ্রাধিকার দিতেই হবে।

নতুন মন্ত্রিসভার শপথ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা গঠনে কোন সাংবিধানিক জটিলতা নেই।

তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে গেজেট প্রকাশ হবে। গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ হয়ে গেলেই নতুন সংসদ সদস্যরা শপথগ্রহণ করবেন।

সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনে দায়িত্ব দেশের রাজনীতিবিদদের নিতে হতে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এই নির্যাতন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। দু:খের বিষয় বিএনপিও এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে।

তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায়। এমন সময় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ দু:খজনক। এই আক্রমণ কেন প্রতিহত করা গেল না তা আমার কাছে স্বচ্ছ নয়।

সভায় অন্য বক্তারা বলেন, দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের উপর জামায়াত যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা আমাদের রুখে দাড়াতে হবে।

ঠিকানা বাংলাদেশ নামে এক সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে দেশের চলমান রাজনীতির বিষয়ে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চিত্তরঞ্জন দাস। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা হারুন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) মহিলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শিরিন নায়িম পুনম, রূপালী ব্যাংকের পরিচালক ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, বঙ্গবন্ধু একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজি, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচএ/জেএম/জানুয়ারি ০৮, ২০১৪)