১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের বৃত্তি ঘোষণা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের বৃত্তি ঘোষণা করা হবে। বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আবেদন জানানো হয়েছে। বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া না হলে আগের মতো ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীই বৃত্তি পাবে। এরমধ্যে মেধাবৃত্তি (ট্যালেন্টপুলে) ২২ হাজার ও ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পাবে।
গত চার বছরের মতো এবারও বৃত্তির জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হবে না। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, প্রাথমিক সমাপনীতে শিক্ষার্থীর তুলনায় বৃত্তির সংখ্যা অনেক কম।
বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বৃত্তির ফলাফল প্রকাশের জন্য আমরা কাজ করছি। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বৃত্তি ঘোষণা করা হবে।’
বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০১৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক সমাপনীর ফল গত ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। এবার প্রাথমিক সমা্পনীতে পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ৫৮ ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
প্রাথমিকে মোট পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৩২ জন। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৪২ জন।
দুই পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ২১৪ জন। এরমধ্যে প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৬১ জন, অপরদিকে ইবতেদায়িতে পেয়েছে ৭ হাজার ২৫৩ জন।
২০১১ সালের আগে প্রাথমিকে মেধা ও সাধারণ কোটা মিলিয়ে মোট ৫০ হাজার বৃত্তি দেওয়া হতো। এরমধ্যে মেধাবৃত্তি ২০ হাজার ও সাধারণ কোটায় ৩০ হাজার। ২০১১ সালে বৃত্তির সংখ্যা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করায় বৃত্তি প্রাপ্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার হয়।
মেধা বৃত্তিপ্রাপ্ত একজন শিক্ষার্থী প্রতিমাসে ২০০ টাকা করে প্রতি বছর ২ হাজার ৪০০ টাকা ও সাধারণ কোটায় প্রতিমাসে ১৫০ টাকা করে প্রতি বছর এক হাজার ৮০০ টাকা পেয়ে থাকে। তিন বছর পর্যন্ত এ সুবিধা পায় তারা। এ ছাড়া ৩ বছর পর্যন্ত প্রত্যেকে প্রতিবছর এককালীন ১৫০ করেও পেয়ে থাকে।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এনডিএস/জানুয়ারি ০৮,২০১৪)