দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও আমরা নির্বাচন সম্পন্ন করেছি, এটা আমাদের বড় ধরনের সফলতা। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি ফলাফল বিশ্বাসযোগ্য দাবি করে তিনি বলেন, এতে আমরা সন্তুষ্ট।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।

সিইসি গেজেট প্রকাশ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের দায়িত্ব নির্বাচন সম্পন্ন করা। প্রতিকূল মুহূর্তে আমরা আমাদের দায়িত্ব শেষ করেছি। নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় গেজেট করা পর্যন্ত আমাদের দায়িত্ব। বাকি কাজ সরকার করবে।

ভোটের পরিসংখ্যান তৈরির বিষয়ে সিইসি বলেন, ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে বলা যাবে না কত পার্সেন্ট ভোট পড়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আমরা রিপোর্ট পেয়েছি। সে রিপোর্টে ৪০.৪৬ ভাগ ভোট পড়েছে বলে আমরা মনে করি। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা গেজেট প্রকাশ করেছি। কিছু আসনে ১৬ জানুয়ারি ভোট হবে। সব মিলিয়ে একটি চূড়ান্ত ফল তৈরি হবে। এর আগে সবকিছু আংশিক হবে।

ভোটের শতকরা হার বিশ্বাসযোগ্য কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকে বলেছে ভোটের হার ৩০ শতাংশ। এটা কম-বেশি হতে পারে। সাংবাদিকরা অনেক জায়গায় কম, অনেক জায়গায় বড় লাইন দেখিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় আসন অনুযায়ী কম-বেশি হয়েছে। ফাইনাল রিপোর্টের আগে কোনো পরিসংখ্যান চূড়ান্ত বলা যাবে না।

গেজেট প্রকাশে তাড়াহুড়ো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসারদের কাছ থেকে চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা দেরি না করে প্রতিবারের মতো গেজেট করেছি। দেরি করলে আপনারা বিষয়টি সন্দেহ করতেন।

রংপুর-৬ আসনে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। বিষয়টির কারণ জানতে চাইলে সিইসি বলেন, রিপোর্টটি আমরা দেখেছি। এখানে আমরা ধরবো, সব ভোটার সচেতনভাবে ভোট দিয়েছেন।

পরিসংখ্যান কোনটি সত্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি) নিজেও বিভিন্ন কেন্দ্রে গেছে, তাদের একটি ফিগার আছে। আপনাদের (সাংবাদিকদের) একটি ফিগার আছে, আমাদেরও একটি আছে। এগুলো শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত একটিতে রূপ নেবে।

নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতার দায়ভার কার?- এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে সিইসি বলেন, সহিংসতা কোনো গণতন্ত্রের ভাষা নয়। যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের উপর হামলা হয়েছে। যেখানে হামলা হয়েছে আমরা সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। এখনও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তারা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং অস্ত্র উদ্ধার করছে। ১৬ জানুয়ারির মধ্যে এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/এপি/এমএআর/জানুয়ারি ০৮, ২০১৪)