জোসনা জামান, দ্য রিপোর্ট : আড়াই মাস ধরে পড়ে আছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার ছয়টি নতুন গাড়ি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) জন্য কেনা হলেও কর্মকর্তাদের অনীহার কারণে গাড়িগুলো ব্যবহার হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ারভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আইএমইডি সচিব মোহাম্মদ মেছবাহ উদ্দিন। বুধবার তিনি দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন, সরকারি গাড়ির জন্য তেল কিনতে হয় বাকিতে। অনেক কষ্ট করে একটি কোম্পানিকে ম্যানেজ করেছি। এ ছাড়া গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন পেতে দেরি হচ্ছে- এটিও ব্যবহার না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। তবে দু-একদিনের মধ্যেই রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে বলে আশা করছি।

কর্মকর্তাদের অনীহার কারণে গাড়িগুলো ব্যবহার হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ঠিক নয়। কারণ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও তেলের ব্যবস্থা না হলে চলবে কি করে?

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন করাই হচ্ছে আইএমইডির প্রধান কাজ। এ কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায়ে যেতে হয়। কিন্তু সংস্থাটির নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় এতদিন প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের গাড়িতেই বেশিরভাগ সময় যেতে হতো। ফলে মূল্যায়ন কাজের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতো। এ সমস্যা সমাধানে আইএমইডি স্ট্রেংদেনিং প্রকল্পের আওতায় ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি কোম্পানি প্রগতি থেকে কেনা হয় ছয়টি পাজেরো গাড়ি। গাড়িগুলোর প্রতিটির মূল্য পড়েছে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা।

প্রকল্প পরিচালক ও আইএমইডির পরিচালক হাবিবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি। তবে আইন অনুযায়ী যে কোন তথ্য পেতে নির্দিষ্ট ফরমে দরখাস্ত করার কথা বলে প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

আইএমইডির সম্মেলন কক্ষে বুধবার আয়োজিত সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী গাড়িগুলো ব্যবহার না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এমএআর/জানুয়ারি ০৮, ২০১৪)