জাতীয় পার্টির (জাপা) জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, বৃহস্পতিবার এরশাদ শপথ নেবেন।

কিন্তু জাপার একাধিক নেতা দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন, এরশাদ বৃহস্পতিবার শপথ নিচ্ছেন না। তিনি এখনও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।

জাপার এনজিও বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি শামীম আহমেদ রিজভী বুধবার সন্ধ্যায় দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমি শতভাগ নিশ্চিত, এরশাদ স্যার কালকে (বৃহস্পবিার) শপথ নিচ্ছেন না। যারা এ সব করছেন তারা কেউ জাপায় থাকতে পারবেন না। এরশাদ স্যার সবাইকে বহিষ্কার করবেন।’

জাপা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে এরশাদের ছোটভাই ও জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদেরের উত্তরার বাসভবনে বৈঠক করেন এরশাদপন্থী নেতারা। বৈঠকে তাড়াহুড়া না করে ধীরে ধীরে সারাদেশের জেলা ও উপজেলার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলকে সংগঠিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুব সংহতির সাবেক আহ্বায়ক আলমগীর শিকদার লোটন, জাপার যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাকুর রহমান মোস্তাকসহ একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য।

বৈঠকে উপস্থিত জাপার এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘কয়েকদিন পরেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরশাদ সাহেব শপথ নেবেন না।’

প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘এরশাদ সাহেব অবশ্যই বেঈমানদের বহিষ্কার করবেন। তা না হলে তো দল থাকবে না।’

প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সব দল না আসায় ৩ ডিসেম্বর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন এরশাদ। এর আগে ১৮ নভেম্বর গুলশানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহাজোট ছেড়ে সর্বদলীয় সরকারে অংশ নেন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাপার নেতারা। নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করায় ১২ ডিসেম্বর র‌্যাব এরশাদকে তার বাসা থেকে আটক করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরশাদ আটক থাকা অবস্থায়ই রংপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে লালমনিরহাট-১ ও ৩ থেকে তিনিসহ তার ছোট ভাই জি এম কাদের পরাজিত হন। এরশাদ এখনও হাসপাতালে আছেন।

বুধবার রওশন এরশাদ আরো বলেন, ‘উনার (এরশাদ) ওপর যাতে বেশি চাপ না পড়ে সেজন্য উনি হাসপাতালে আছেন। এখন উনি কিছুটা সুস্থ। হয়তো ডাক্তার ছেড়ে দেবেন। উনি আমাদের সঙ্গেই আছেন।’

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এসবি/ এনআই/জানুয়ারি ০৮, ২০১৪)