নওগাঁ সংবাদদাতা : নওগাঁর মহাদেবপুরের নলোবল মাঠ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে মিঠুন (১৯) ও একই উপজেলার নওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির পাশ থেকে এক অজ্ঞাত (৩০) যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিঠুন নলোবল গ্রামের সুমলের ছেলে। অন্যদিকে বুধবার সন্ধ্যায় জেলার রানীনগর উপজেলার কাশিমপুর সাহানাপাড়া গ্রামে সুমি আকতার (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সুমি উপজেলার কাশিমপুর সাহানাপাড়া গ্রামের খোকা সোনারের ছেলে সান্টু মিয়ার স্ত্রী।

জানা গেছে, দুপুরে মহাদেবপুর উপজেলার নলোবল মাঠে এলাকাবাসী মিঠুনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। তিনি নওগাঁ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র বলে নিহতের বাবা জানান। অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপরদিকে, রানীনগর উপজেলার কাশিমপুর সাহানাপাড়া গ্রামে সুমি আকতার নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত সুমির বাবা আহাদ আলী অভিযোগ করেন, প্রায় ৫ বছর আগে মোটা অঙ্কের যৌতুক নিয়ে পাশের সর্বরামপুর গ্রামের সান্টু মিয়া সুমি আকতারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত যৌতুক দাবি করায় এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়ে আসছে। প্রায়ই সান্টু ও তার পরিবারের লোকজন সুমির ওপর নির্যাতন চলাতো।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, সুমির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মাস খানেক আগে জমি বিক্রি করে বেশ কিছু টাকা সান্টুকে দেওয়া হয়েছে। তারপরও থেমে থাকেনি সুমির ওপর নির্যাতন। এরই জের ধরে বুধবার সকালে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া বাঁধলে পরিবারের লোকজন সুমির ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে তারা পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে সুমিকে হত্যা করে গালায় ফাঁস দিয়ে শোবার ঘরের তীরের সঙ্গে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।

ঘটনা টের পেয়ে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূ সুমির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

(দ্য রিপোর্ট/কেএফ/এএস/আরকে/জানুয়ারি ৯, ২০১৪)