চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম কোরিয়ান ইপিজেডে (কেইপিজেড) একটি বিদেশি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পারভীন আক্তার ১৮ নিহত হয়েছেন। পাঁচ পুলিশসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। এ সময় শ্রমিকরা কারখানায় ভাঙচুর চালিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়।

কর্ণফুলী স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড (কেএসএল) নামে ইয়ং ওয়ানের একটি কারখানায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা (দুপুর ৩টা) পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) সাইফুল করিম জানান, ইয়ং ওয়ানের কেএসএল নামের কারখানাটিতে নতুন স্কেলে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হচ্ছিল। মধ্যাহ্ন বিরতির সময় দুপুরে শ্রমিকেরা কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ তোলেন তাদের বেতন ঠিকভাবে দেওয়া হলেও যানবাহন ভাতা কম দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ দেখে শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তারা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ৫০ জনের মতো আহত হন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা কেইপিজেডের ভেতরে ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চালায় ও বিভিন্ন মালামালে আগুন ধরিয়ে দেয়।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচ/এফএস/সা/জানুয়ারি ৯, ২০১৪)