দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাড়ে ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগির মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

আসামিরা হলেন- গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোনাবাড়ী জোনাল অফিসের প্রাক্তন ক্যাশিয়ার (বরখাস্ত) মিসেস শাহানা পারভীন, বোর্ড বাজার জোনাল অফিসের সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. ইমরুল হাসান ভূইয়া (বর্তমানে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১), বিলিং সুপারভাইজার মিসেস শিরিনা বেগম, গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সদর সফতরের সাবেক হিসাব সহকারী শংকর চন্দ্র পাইক (বর্তমানে গাজীপুর জোনাল অফিসের সহকারী প্ল্যান হিসাবরক্ষক) এবং মো. মনিয়ার হোসেন (বর্তমানে বোর্ড বাজার জোনাল অফিসের সহকারী প্ল্যান হিসাবরক্ষক)।

দুদক সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সময় পর্যন্ত দৈনিক আদায় রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাহকদের নিকট থেকে মোট ১০ কোটি নয় লাখ ১৯ হাজার ৬৫৬ টাকার নীট বিদ্যুৎ বিলের বিপরীতে নির্ধারিত হারে প্রকৃত ভ্যাট বাবদ মোট ৫০ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪ টাকা আদায় করেন। কিন্তু দৈনিক আয় রেজিস্ট্রার ও কালেকশন রিপোর্টে মোট ৩৭ লাখ ৯২ হাজার ৬০ টাকা জমা করা হয়। অবশিষ্ট ১২ লাখ ৫২ হাজার ৯৮৪ টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে আত্মসাত করেন। মামলার তদন্তে আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ড বিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

সূত্র আরও জানায়, শংকর চন্দ্র পাইক ও মো. মনিয়ার হোসেন এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও মামলার তদন্তকালে তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় আসামি হিসেবে তাদের নাম যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি এ দুর্নীতির সঙ্গে বোর্ড বাজার জোনাল অফিসের বিলিং সহকারী মিসেস মলি খানমের কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এসবি/আরকে/জানুয়ারি ০৯, ২০১৪)