প্রার্থীদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সম্পদের হলফনামা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক জানায়, নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের সম্পদের হলফনামা ও অবৈধ সম্পদের হিসাব যাচাই করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। এ জন্য নির্বাচনের পরই দুদক প্রার্থীদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে। কমিশন ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি অভিযোগ অনুসন্ধানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রটি দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘প্রার্থীদের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আমরা পরীক্ষা করছি। কিছু কিছু অভিযোগ আমরা অবশ্যই অনুসন্ধান করব। যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো নিয়ে আমরা প্রথমে কাজ শুরু করেছি।’
মো. বদিউজ্জামান দ্য রিপোর্টকে আরও বলেন, ‘অনেক প্রার্থীরা সম্পদের পরিমাণ এর আগের বার নির্বাচন কমিশনে প্রদেয় সম্পদের তুলনায় অনেক বেশি দেখিয়েছেন। আমরা শুধু তাদের দেওয়া ওই সম্পদের হিসাবই নয়, তাদের আরও কোনো সম্পদ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখায়রুজ্জামান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই অতি গুরুত্বপূর্ণ। সুশীল সমাজ, বেসরকারি সংস্থা ও জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী প্রার্থীদের সম্পদের পরিমাণ নির্বাচন কমিশনে দাখিলের নিয়ম চালু হয়েছে। প্রার্থীরা তাদের সম্পদের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে- এটা ইতিবাচক। তবে এ ধরনের ইতিবাচক ফল তখনই কার্যকর হবে যখন দুদক তার যথাযথ ভূমিকা পালন করবে। কোনো প্রার্থীর বৈধ আয় বহির্ভুত সম্পদ থাকলে তাকে বিচারের আওতায় আনা দুদকের দায়িত্ব।’
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/সা/জানুয়ারি ০৯, ২০১৪)