দ্য রিপোর্ট : নানা সীমবদ্ধতার মধ্যেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। রোগীর অবস্থা বিবেচনায় তাদের নগদ অর্থ সহায়তাও করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান।

বার্ন ইউনিটের কনফারেন্স রুমে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বার্ন ইউনিটের উপদেষ্টা ডা. সামন্ত লাল সেন, অধ্যাপক সাজ্জাদ খোন্দাকার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ডা. জুলফিকার আলী লেলিন এবং বার্ন ইউনিটের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

২৫ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় অগ্নিদগ্ধ ১৯৮ জন রোগী এখান থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে এখানে ভর্তি হয়েছের ৯৮ জন। মারা গেছেন ২২ জন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন ৩৪ জন। ৪২ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

বার্ন ইউনিটের নানা সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে পরিচালক বলেন, ‘আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। এখানে যত রোগী আসে আমরা সবাইকেই ভর্তি করি।’

সভায় সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘বার্ন ইউনিটকে পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট করার প্রশাসনিক কাজ শুরু হয়েছে। কেননা, আমাদের বর্তমানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রয়োজন ৪০০ জন। কিন্তু এখন বাংলাদেশে আছে মাত্র ৩৬ জন। আর এ কারণেই ইনস্টিটিউট করতে পারলে এখান থেকে প্রতিবছর আমরা ২০ জন ছাত্র ভর্তি করতে পারব।’

মতবিনিময় সভায় অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগী গীতা সেন। তিনি বলেন, ‘আমার যন্ত্রণা আমি কাউকে বুঝাতে পারব না।’

(দ্য রিপোর্ট/এসআর-এএইচএ/এনডিএস/সা/জানুয়ারি ০৯, ২০১৪)