দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধের সময় একেএম ইউসুফের নির্দেশে রাজাকাররা আবদুস ছালাম খানকে ধরে নিয়ে নদীর পাড়ে গুলি করে হত্যা করে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের ১৯তম সাক্ষী আবদুল লতিফ হাওলাদার।

চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য পেশকালে এ কথা বলেন তিনি।

বাগেরহাটের শরণখোলা থানার রায়েন্দা গ্রামের আবদুল লতিফ হাওলাদার (৭২) তার সাক্ষ্যে বলেন, ‘একাত্তরের ২৯ জুলাই ইউসুফ শরণখোলা থানার দোতলায় বসে রাজাকারদের নিয়ে মিটিং করছিলেন। এ সময় দেখি রাজাকাররা জনৈক আবদুস ছালাম খানকে ভেজা অবস্থায় ধরে নিয়ে আসছে। তারপর একেএম ইউসুফের নির্দেশে ছালাম খানকে রাজাকাররা ধরে নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। এ সময় আমি কয়েকটি গুলির শব্দ শুনি। এরপর শুনি ছালাম খানকে মেরে ফেলেছে এবং ৫-৭ দিন পর লাশ উদ্ধার করা হয়।’

আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার কার্যক্রম রবিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। ওই দিন আসামিপক্ষ সাক্ষীকে জেরা করবেন।

গত ১ আগস্ট হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটসহ ৪ ধরনের ১৩টি অভিযোগে ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে, একই ট্রাইব্যুনালে জাতীয় পার্টির সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো. কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে, জামায়াতের অপর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দ্বিতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১ আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এনডিএস/সা/জানুয়ারি ০৯, ২০১৪)