আবাহনীকে রুখে দিল সকার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম অঘটন; আবাহনীকে রুখে দিয়েছে ফেনী সকার ক্লাব। বৃহস্পতিবার ঢাকার বাইরের দলটির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ফেভারিটরা।
পেশাদার লিগে সবচেয়ে সফল আবাহনী। আগের ৬ আসরের ৪ বারই শিরোপা ঘরে তুলেছে অভিজাত পাড়ার দলটি। কিন্তু চলতি লিগে নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না আলী আকবরের শিষ্যরা। প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ঘামঝরানো জয়; দ্বিতীয় ম্যাচে ফেনী সকারের বিপক্ষেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি আকাশী শিবির। তাদের ভুল পাস আর অগোছানো খেলার সুযোগ নিয়েছে সকার। ২৩ মিনিটে সুযোগ পেয়েও তা গোলে পরিণত করতে পারেননি আবাহনীর ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড মরিসন। সকারের গোলরক্ষক নেহালকে একা পেয়েও পোস্টের বাইরে শট নিয়েছেন তিনি।
৩৩ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেছেন আবাহনীর মিডফিল্ডার তৌহিদুল। ডানপ্রান্ত থেকে শরীফুলের ক্রসে বল পেয়ে হেড নিয়েছিলেন ফাঁকায় দাঁড়ানো তৌহিদুল। তার হেড বল জাল খুঁজে পায়নি। ২ মিনিট পরই সুযোগ এসেছিল সকারের। ৩৫ মিনিটে আবাহনীর বক্সের মধ্যে জটলা থেকে শট নিয়েছেন সকারের গামবিয়ান মিডফিল্ডার মামুদো। কিন্তু তার শটটি আবাহনীর একজন ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে পোস্টের বাইরে চলে গেছে।
বিরতির পরও গোল মিসের মহড়াই দিয়েছেন আবাহনীর ফুটবলাররা। ৫৮ মিনিটে ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড ইব্রাহিমের শট ডান পোস্ট ঘেঁষে মাঠের বাইরে না গেলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। ৬৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের বিপদ সীমানায় ইব্রাহিমের ক্রসে বক্সে বল পেয়েছেন তৌহিদুল। তার বাড়ানো বলে মরিসনের শট খুব সহজে গ্রিপ বন্দি করেছেন সকারের গোলরক্ষক নেহাল। শেষ পর্যন্ত কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।
দল ড্র করায় হতাশ আবাহনীর ইরানী কোচ আলী আকবর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ভালো খেলিনি। কৌশলগত দিক থেকে মার খেয়েছি। ভীষণ হতাশ হয়েছি আমি। এর আগে ২ বছর আবাহনীর কোচ ছিলাম। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তখনও যেমন ছিল, এখনও ঠিক আগের মতোই অনুন্নত আছে এ দেশের ফুটবল।’
অন্যদিকে, আবাহনীর সঙ্গে ড্র করতে পেরে সন্তুষ্ট সকার ক্লাবের গামবিয়ার কোচ ওমর সিসে, ‘এক পয়েন্ট পেয়েছি। সদ্যসমাপ্ত ফেডারেশন কাপেও আমরা অসাধারণ খেলেছি। কিন্তু বাজে রেফারিং আমাদের ছিটকে দিয়েছিল ওই টুর্নামেন্ট থেকে।’
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/সা/জানুয়ারি ৯, ২০১৪)