দশম সংসদ ও শপথ গ্রহণ অবৈধ : জামায়াত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ৯ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়ার আগেই ১০ম জাতীয় সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ।
এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মকবুল আহমাদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচন অবৈধ। নির্বাচনের নামে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন যাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেছে তারাও অবৈধ। কথিত ১০ম সংসদও অবৈধ। সুতরাং তাদের শপথ গ্রহণের কোনো বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতা নেই। জনগণ এ প্রহসনের নির্বাচন, অবৈধ সংসদ ও সরকার মানে না।’
মকবুল আহমাদ বলেন, ‘শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের দাবি অগ্রাহ্য করে সরকার ৫ জানুয়ারি একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনী নাটকের আয়োজন করে। এ নির্বাচন জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। গণপ্রত্যাখ্যাত এই নির্বাচনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘সরকার একের পর এক অবৈধ ও সংবিধান বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ৯ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থী।’
মকবুল আহমাদ বলেন, ‘সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে শপথ গ্রহণ করেছে। অবৈধ সরকারের আইন প্রণয়ন ও রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো অধিকার নেই।’
অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে পদত্যাগের মাধ্যমে দেশকে ভয়াবহ সঙ্কট থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, অপরএক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেন, ‘সরকার দলীয় ক্যাডার দিয়ে অব্যাহতভাবে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুর চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর অপচেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে সরকার সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনৈতিক নোংরা খেলায় মত্ত। একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর বিশ্বসম্প্রদায়ের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংখ্যালঘুদের ওপরে নির্যাতন চালিয়ে তা বিরোধী দল, বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরের ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আওয়ামী লীগ।’
(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এনডিএস/সা/জানুয়ারি ০৯, ২০১৪)