নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ধ্বংস হচ্ছে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র : জাতিসংঘ
দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বেধে দেয়া সময়সীমা অনুযায়ী রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ ও উৎপাদন সরঞ্জামসমূহ ধ্বংসকরণ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে সিরিয়া। তবে নিরাপত্তার অভাবে কিছু এলাকায় এ কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এক অগ্রগতি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, বেধে দেয়া সর্বশেষ সময়সীমার মধ্যেই রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদনকারী যন্ত্রপাতি ধ্বংস করতে যাচ্ছে সিরিয়া। যদিও যুদ্ধের কারণে পর্যবেক্ষকরা এখনও সবগুলো স্থাপনা পরিদর্শন করতে পারেন নি।
নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দেয়া এ প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিকল্পনা অনুসারে আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যেই ঘোষিত সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র অকার্যকার করা সম্ভব হবে।
এতে বলা হয়, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসকরণ কর্মসূচির তত্ত্ববধানে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংগঠনের (ওপিসিডব্লিউ) ২২ বিশেষজ্ঞ এবং জাতিসংঘের ৫০ কর্মকর্তা সিরিয়ায় রয়েছেন।
ওপিসিডব্লিউ এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সিরিয়ার ৪১টি স্থাপনার মধ্যে ৩৭টির পরিদর্শন সম্পন্ন করেছেন। তারা ঐ স্থাপনাগুলো সম্পর্কে সিরিয়া সরকারের প্রদত্ত তত্ত্বসমূহের সত্যতা যাচাই সম্পন্ন করেছেন এবং এ সকল স্থাপনার উৎপাদন, মিশ্রিতকরণ এবং পূর্ণকরণ ক্ষমতার কার্যকরি ধ্বংসসাধন নিশ্চিত করেছেন বলেও জানান বান কি মুন।
তিনি আরো জানান, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার জন্য ৩৪ দিনের সময়সীমা বেধে দেয়ার পর দেশটির পক্ষ থেকে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসকরণ প্রকিয়ায় সকল ধরনের সহযোগিতা জোরদার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়াতে বর্তমানে ওপিসিডব্লিউর ২২ জন পরিদর্শক এবং জাতিসংঘের ৫০ কর্মকর্তা থাকলেও ৩১ মাস ধরে চলমান যুদ্ধে ১ লাখেরও বেশি লোক মারা যাওয়া দেশটিতে তাদের নিরাপত্তা প্রদান খুবই কঠিন এবং অনিশ্চিত। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিদর্শকরা সর্বশেষ স্থাপনাটিতে যাবেন। তবে ঝুকিপূর্ণ স্থাপনগুলো সরকার না বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে আছে তা প্রতিবেদনে বলা হয় নি।
এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যেই সিরিয়ার সকল রাসায়নিক অস্ত্র এবং অস্ত্র উৎপাদনকারী সরঞ্জাম ধ্বংস করার সময়সীমা বেধেঁ দিয়েছিল দেশটিকে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিরিয়ায় এখনও প্রায় ১০০০ হাজার টন রাসায়নিক মজুদ রয়েছে এবং এর ধ্বংসসাধন ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় এখনও তেমন কোনো পরিকল্পনা তৈরি করা হয়নি।
(দিরিপোর্ট২৪/এআইএম/জেএম/অক্টোবর ২৯, ২০১৩)