সরকারে কারা শক্তিশালী হচ্ছেন : মন্ত্রিসভা না উপদেষ্টামণ্ডলী
চটজলদি দশম সংসদের সদস্যদের গেজেট এবং শপথ অনুষ্ঠানের পর এবার মন্ত্রিসভা গঠনের পালা। পত্র-পত্রিকার খবর মোতাবেক রবিবার এই মন্ত্রিসভা গঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা সংসদীয় দলের প্রধান এবং চলমান মন্ত্রিসভার সদস্য ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। সংবাদপত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে রবিবার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিবেন। এরপর শপথ নেবে তার মন্ত্রিসভা।
ধারণা করা যায়, মন্ত্রিসভা গঠনের কাজটি হয়তো অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। বর্তমান সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় যারা ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা দিয়েছেন তারা তার পুরস্কার হিসেবে সরকারে থাকবেন।
মন্ত্রিসভা যাদের নিয়েই গঠিত হোক না কেন আগামী সরকারে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যে আরও বেশি শক্তিশালী অবস্থানে থাকবেন এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। গত পাঁচ বছরে একটি বড় মন্ত্রিসভা নিয়ে কাজ করলেও সরকারে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপদেষ্টামণ্ডলী। এ নিয়ে তখন দলের ভেতরে-বাইরে অনেক ক্ষোভ থাকলেও তা কখনো প্রকাশ্য রূপ পায়নি বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোনো বেকায়দায় ফেলতে পারেনি। কয়েকজন নিজ দলীয় ও জোট শরিকদের মন্ত্রিত্ব দিয়ে তিনি অপ্রকাশিত ক্ষোভকে সামাল দিয়েছিলেন।
নতুন সরকারেও উপদেষ্টামণ্ডলী থাকছেন ধরেই নেওয়া যায়। তবে সেই উপদেষ্টামণ্ডলী কি আগের সরকারের মতোই প্রতাপশালী থাকবেন না রাজনৈতিক মন্ত্রীরা প্রভাবশালী হবেন এটা অচিরেই বোঝা যাবে। বলা যায়, গত সরকারের নৈতিকভিত এবং আগামী সরকারের নৈতিকভিত এক না হওয়ায় রাজনৈতিক নেতৃত্ব অর্থাৎ মন্ত্রিসভার সদস্যরা মানসিকভাবে অনেকটাই দুর্বল থাকবেন- টেকনোক্রাট বাদে।
এ অবস্থায় আগামীদিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপদেষ্টামণ্ডলীর আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠারই কথা।