যশোরে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় তদন্ত কমিটি
অভয়নগরের চাপাতলার মানুষের মাঝে স্বস্তি
যশোর সংবাদদাতা : ভোট শেষে তাণ্ডবের শিকার যশোরের অভয়নগর চাপাতলা মালোপাড়ার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। নিরাপত্তা পেয়ে বাড়ি ফিরছেন এখানকার ক্ষতিগ্রস্তরা। সরকারি সহায়তা আর স্থানীয়দের সহমর্মিতায় স্বাভাবিক কাজে মনোনিবেশ করতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এখানকার অধিবাসীরা।
চাপাতলা ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এএনএম মঈনুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে এ সব বিষয় সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন সাংবাদিকরা। যশোর জেলা প্রশাসন, বিজিবি কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনীতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ও সহায়তায় মুগ্ধ এখানকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
৫ জানুয়ারিতে তাণ্ডবের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত অরুণ সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এখন পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক। পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন ও ডিসি-এসপি স্যারদের উপস্থিতি ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় অনেকটা নিরাপদ বোধ করছি। তবে, আতঙ্ক একটা রয়েই গেছে- যে কারণে বাইরে বাজার করতে যেতে পারছি না।
তিনি বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আটক করা হলে আরেকটু স্বস্তি ও সাহস পেতাম।
নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বললেন খুলনা বিএল কলেজের ছাত্রী সীমা ও তার বোন প্রতিমা। তারা জানান, সেই দিনের পর আজই (বৃহস্পতিবার) বাড়িতে এলাম। প্রশাসনের লোকজন, স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠদের দেখে সাহস পাচ্ছি।
তারা জানান, ভয়ঙ্কর সেই পরিস্থিতি ভুলে পড়ালেখা করতে চাই। আশা করছি প্রশাসন দ্রুত এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে।
যশোরের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবারও চাপাতলায় যান। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসহায়তা প্রদান করেন।
এ ছাড়া সেখানে উপস্থিত থেকে তাণ্ডবের শিকার মানুষদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন যশোর জেলা পরিষদের প্রশাসক সাবেক সংসদ সদস্য শাহ হাদীউজ্জামান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুর রহমান শামস, লে. কমান্ডার মতিউর রহমান, পূজা উদযাপন পরিষদের সেক্রেটারি দীপঙ্কর দাস রতন প্রমুখ।
তারা ক্ষতিগ্রস্ত তিন শতাধিক মানুষের মাঝে ত্রাণসহায়তা প্রদান করেন। বিজিবি কর্মকর্তারা অ্যাসেসমেন্ট করে আরও সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
(দ্য রিপোর্ট/জেএম/এপি/জানুয়ারি ০৯, ২০১৪)