দ্য রিপোর্ট কূটনৈতিক প্রতিবেদক : গণতন্ত্র রক্ষায় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নতুন করে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠান দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। পাশাপাশি সদ্যসমাপ্ত ৫ জানুয়ারির ভোটকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংসতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে তা সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী ইউরোপের এই জোট।

অন্যদিকে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট কাটাতে ও সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন সরকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।

সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো মন্তব্য করে ইইউ। এ বিষয়ে জোটটির পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রভাবশালী প্রতিনিধি ক্যাথরিন অ্যাশটন ব্রাসেলসে এক বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এবং ওই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হারের প্রতি নজর ছিল সংস্থাটির। ভোটকে কেন্দ্র করে সংগঠিত সহিংসতামূলক কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানায় সংস্থাটি। বিশেষ করে নারী, শিশু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা দুঃখজনক ঘটনা বলে উল্লেখ করে তারা। সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করে জোটটি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব সময়ই সহায়তা করে আসছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নতুন করে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ট নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়া দরকার।

ক্যাথরিন অ্যাশটন বিবৃতিতে বলেন, চলমান সহিংসতা বন্ধে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব সংলাপ করা প্রয়োজন।

এর আগে সদ্যসমাপ্ত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও চীন হতাশা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে।

অন্যদিকে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা বলে মন্তব্য করেছে। দেশটি বলেছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে তাদের মতো করেই চলতে দিতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/জেআইএল/এসকে/শাহ/জানুয়ারি ১০, ২০১৪)