দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অবশেষে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পিছিয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ১১ জানুয়ারি, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার শুভ উদ্বোধন করবেন।

মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিজনে ৩০ টাকা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। দৈনিক ১ লাখ দর্শনার্থী মেলায় আসবে বলে আশাবাদ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

মেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, ইরান, চীন, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়াসহ বেশ কিছু দেশের পণ্য প্রদর্শিত হবে।

মেলায় লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদানযোগ্য স্থাপনার সংখ্যা ৪৭১টি। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভেলিয়নের সংখ্যা-৯৬টি, মিনি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৪৯টি, স্টলের সংখ্যা ৩১৬টি এবং রেস্তোরাঁ ১০টি।

মেলায় রকমারি সরঞ্জাম, কসমেটিকস, স্টেশনারি, ইলেকট্রনিক্স, পাটজাত, কার্পেট, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা, জুয়েলারি, খেলনা, সিরামিকস, মেলামাইন, বস্ত্র, আসবাবপত্র, হস্তজাত তৈজসপত্রসহ নানা ধরনের পণ্য প্রদর্শিত হবে।

এবারের মেলায় নতুনত্ব আনার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য সচিব। সুন্দরবন ইকো-পার্ক, রক্তদান কেন্দ্র, মেডিকেল সেন্টার, শিশুদের জন্য ইকো-পার্ক, সাকুরা গার্ডেন থাকবে। এ ছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান ও দাখিল করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রত্যেক প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলোতে নির্ধারিত সংখ্যক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এদিকে মহিলা পুরুষদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বিভিন্ন স্পটে।

সাধারণত বছরের প্রথম বা জানুয়ারির পয়লা তারিখ থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়। তবে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেলা শুরুর তারিখ পূর্বেই ঘোষণা দিয়ে পেছানো হয়।

এদিকে শনিবার থেকে মেলা শুরু হলেও প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলো এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। স্বল্প কিছু প্যাভিলিয়ন ও স্টলে পণ্যদ্রব্য এসে পৌঁছালেও এখনো বিক্রয় করার মতো পরিবেশ বা উপযোগী হয়নি। বর্তমানে প্রায় সব স্টলে চলছে সাজগোজের কাজ। তা ছাড়া মেলার মাঠ এখনো সম্পূর্ণভাবে হাঁটার উপযোগী হয়নি। স্টলের পাশাপাশি চলাচলের জন্য ইট দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়া এখনো মেলার মূল গেট তৈরি সম্পন্ন হয়নি।

হরতাল, অবরোধ থাকা সত্ত্বেও ১ লাখ দর্শনার্থী প্রতিদিন আসবে বলে জানান বাণিজ্য সচিব মাহবুবে আলম। আর যে সব কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি সেসব রাতের মধ্যে শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

উল্লেখ্য, এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ১৯তম আসর।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এমডি/এএল/ এনআই/জানুয়ারি ১০,২০১৪)