মণিরামপুরে ননদ-ভাবিকে গণধর্ষণ
যশোর সংবাদদাতা : যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিদাশকাটি ইউনিয়নের হাজরালী ঋষীপাড়ায় ননদ ও ভাবি গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার সকালে তাদের দুজনকে উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় মামলার পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দুজনকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রেজাউল হোসেন।
ক্ষতিগ্রস্তের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসী সশস্ত্র অবস্থায় মণিরামপুরের হাজরালী ঋষীপাড়ায় যায়। এরপর তারা অস্ত্রের মুখে বাড়ির পুরুষ সদস্যদের চাদর ও দড়ি দিয়ে হাত-মুখ বেঁধে ফেলে। তারপর বাড়ির ননদ ও ভাবিকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে।
গৃহকর্তা জানান, পরিবারের সদস্যদের সামনে তার মেয়ে ও পুত্রবধূকে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। হাত-পা-মুখ বাঁধা থাকায় তারা চিৎকারও করতে পারেননি।
নিজের সামনে স্ত্রীর ওপর চলা নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন হতভাগ্য স্বামী।
ঋষীপাড়ার অপর এক জন বলেন, ‘নির্বাচন শেষে দুর্বৃত্তরা তাদের অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু নর-নারীর ওপর নানা রকম নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে। বর্তমানে আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি।’ অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার ওসি মীর রেজাউল হোসেন বলেন, ‘যৌথবাহিনীর অভিযান চলায় যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই খবর পেয়েছিলাম। কিন্তু স্থানের নামের কারণে ঘটনাস্থল শনাক্ত করতে পারিনি। ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।’ দোষীদের আটকে পুলিশি অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
দ্য রিপোর্ট/জেএম/এনডিএস/আরকে/জানুয়ারি ১০, ২০২৪)