শীতের রুক্ষতা থেকে দূরে থাকুন
আকিব যুবাইর : গুটি গুটি পায়ে কুয়াশার হিমেল চাদর গায়ে দিয়ে শীতের বুড়ি ভালোই জেঁকে বসেছে। পৌষের মন মাতানো খেজুর রসের ঘ্রাণ আর সর্ষে ফুলের বাহারি রঙ আকুল করে সবাইকে। এই আনন্দ উপভোগে বাধ সাধতে পারে শীতের রুক্ষতা। তবে সামান্য সময় ব্যয় ও সচেতনতা শীতে শরীরকে রাখতে পারে সজীব ও সতেজ। সতেজ-সপ্রতিভ থাকতে নিচের টিপস গুলো অনুসরণ করতে পারেন-
১. প্রয়োজন অনুসারে গরম কাপড় ব্যবহার করুন। শরীরের উন্মুক্ত অংশগুলোকে (হাত, পা, কান) ঢেকে রাখুন।
২. ত্বকে ময়েশ্চারাইজার অথবা গ্লিসারিনের সাথে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে মাখুন। সাইট্রাস সমৃদ্ধ ফল যেমন- আপেল, কমলা, লেবু ইত্যাদির রস লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক সতেজ থাকবে।
৩. মুখে ভালো ব্র্যান্ডের কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। পাকা কলা, পাকা পেঁপে, সয়াবিনের গুঁড়ো অথবা ময়দা পেস্ট করে মুখে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে টানটান ভাব আসবে।
৪. ভ্যাসলিন সবসময় সঙ্গে রাখুন। ঠোঁট শুকিয়ে গেলেই ভ্যাসলিন মাখুন। ঠোঁটের শুষ্ক আবরণ টেনে তুলবেন না। জিভ দিয়ে বার বার ঠোঁট চাটবেন না। ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পেতে রাতে ঘুমোতে যাবার আগে মধু এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন।
৫. মেকআপ ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে এবং এর হাইপার পিগমেন্টেশনের ফলে ত্বক কালো হয়ে যায়। তাই খুব প্রয়োজন না হলে মেকআপ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
৬. মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবানের পরিবর্তে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার ব্যবহার করুন। দুধ, ময়দা এবং ঘিয়ের মিশ্রণ একটি ভালো ক্লিনজার- যা আপনার ত্বককে আর্দ্রতা থেকে বাঁচাবে।
৭. বেশীক্ষণ রোদে থাকবেন না। রোদে বের হলে সানব্লকার বা সান প্রটেকটিং ফ্যাক্টর ১৫ বা তার বেশি ব্যবহার করতে পারেন।
৮. শীতে গোসলের সময় অত্যধিক গরম পানি ব্যবহার করবেন না।গরম পানি ত্বকের তেল শোষণ করে ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। তাই গোসলের সময় ত্বকের জন্য সহনীয় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
৯. আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় এ সময় খুশকি বাড়ে। খুশকি কমাতে চুলের গোড়ায় হট অয়েল বা লেবুর রস ম্যাসাজ করতে পারেন। অথবা মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ভালো হয়। কিটোকোনাজল, অ্যালোভেরা বা টার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
১০. প্রতিদিন ভোরে আধ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। আপনার ত্বক থাকবে লাবন্যময়।
১১. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং ফলমূল রাখুন। দিনে অন্তত ১০-১২ গ্লাস পানি পান করুন।
লেখক: শিক্ষার্থী
(দ্য রিপোর্ট/এজেড/ডব্লিউএস/জানুয়ারি ১১, ২০১৪)