বিটি বেগুন জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিটি বেগুন জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর হিসেবে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে বিটি বেগুনের সম্ভাবনা ও সমস্যা’ নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাপা।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে বিটি বেগুনের পরীক্ষামূলক চাষের জন্য সরকারি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা আমাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ। কারণ এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে মানব দেহে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ গবেষণা ও পরীক্ষার পর ভারত ও ফিলিপাইনে ইতোমধ্যে এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিটি বেগুন নিয়ে তথ্য ও গবেষণা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, বিটি টক্সিন একটি পরীক্ষিত বিষ। এর দ্বারা উপকারী পোকাও মারা যেতে পারে। বিটি টক্সিনের মাধ্যমে অন্যান্য ফসলেরও ক্ষতি হতে পারে।
এ ছাড়াও বিটি বেগুনের গাছ ও পাতা খেয়ে অন্যান্য প্রাণী অসুস্থ হতে পারে এবং টিবিটি ও এসপিএস এর কারণে রপ্তানি বিঘ্নিত হতে পারে বলেও জানান গবেষকরা।
তারা আরও বলেন, ভোক্তা অধিকার খর্ব করে বিটি বেগুন উৎপাদন করা চলবে না। এই বেগুনের উপর জিএমও লেভেলিং থাকতে হবে। বিটি বেগুনের টক্সিন পরিবেশ ও স্তন্যপায়ীদের ওপর বিরূপ প্রভাব নিরূপণ এবং সর্বস্বীকৃত আন্তর্জাতিক অ্যাকরিডেটেড ল্যাবরেটরির মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। পোকা বিটি বেগুন টক্সিন রোধক হয়ে পড়লে এর বিষ অকার্যকর হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এ এম মুয়াজ্জেম হুসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বাপার নিরাপদ খাদ্য, পানীয় ও ভোক্তা অধিকার কর্মসূচির সদস্য সচিব জাহেদুর রহমান, বি-সেফ ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ড. এ এন এম রেজাউল করিম, নয়া কৃষি আন্দোলনের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তার, উবিনীগের গবেষক ড. এম এ সোবহান, বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এমএআর/আরকে/জানুয়ারি ১১, ২০১৪)