দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দামি কোচিং স্টাফ এনেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে জয়ের খরা কাটাতে পারছে না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। পর্তুগিজ কোচ রুই ক্যাপেলা বাতিস্তার হাত ধরে লিগের প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ঐতিহ্যবাহী দলটি। শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে ফের পয়েন্ট খুইয়েছে পেশাদার লিগের নতুন দল উত্তর বারিধারার কাছে। গোলশূন্য ড্র করে সাদা-কালোদের পয়েন্টে ভাগ বসিয়েছে তারা।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচের মতেই গোল মিসের মহড়া দিয়েছে মতিঝিল ক্লাব পাড়ার দলটি। ১০ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাতিস্তার শিষ্যরা। বক্সের বাইরে থেকে মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোস্তফা মোহাম্মদ সিদ্দিকের দূরপাল্লার শট বারিধারার গোলরক্ষক ওসমান গনি রুখে দিলে গোল বঞ্চিত হয়েছে মোহামেডান। ১৪ মিনিটে সাদা-কালোদের শক্তিশালী ডিফেন্স গলে সুযোগ তৈরি করেছেন বারিধারার আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তারাও। বক্সের বাইরে থেকে ফরোয়ার্ড আবুল কালাম আজাদ সুমনের শট সাইডবার ঘেঁষে চলে না গেলে ভুগতে হতো মোহামেডানকে।

দ্বিতীয়ার্ধেও খেলায় কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি বাতিস্তার শিষ্যরা। ৫১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে তপু বর্মণের শট আটকে দেন বারিধারার গোলরক্ষক ওসমান গনি। ৫৬ মিনিটে সুযোগ এসেছিল বারিধারার। নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার কাদরি লার্নির কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে দর্শনীয় শট নিয়েছেন আরেক স্বদেশি আকিলেন্দে। এবার দারুণ দক্ষতার সঙ্গে শট রুখে দিয়েছেন মোহামেডানের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক মামুন খান। ম্যাচের শেষ বাশি বাজার আগে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে মোহামেডান। ডানপ্রান্ত থেকে এমিলের দুর্দান্ত শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে নিশ্চিত গোল থেকে দলকে রক্ষা করেছেন বারিধারার ডিফেন্ডার সাইদুর রহমান।

ম্যাচ শেষে ভাগ্যকেই দুষেছেন মোহামেডানের পর্তুগিজ কোচ বাতিস্তা। তিনি বলেছেন, ‘খুব বাজে একটা দিন গেছে দলের জন্য। ভালো ফুটবল খেলেনি দল। ৫-৬টা গোলের সুযোগ নষ্ট করেছি আমরা। দুর্ভাগ্য, ছাড়া আর কি বলব? খুব বেশিদিন হয়নি দলের দায়িত্ব নিয়েছি। দলকে সুসংগঠিত করতে আমার আরও সময় লাগবে।’

অন্যদিকে ড্র করতে পেরে খুশি উত্তর বারিধারার গোলরক্ষক কোচ মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা অনেক সুযোগ মিস করেছি। তারপরও ভালো খেলে এক পয়েন্ট পাওয়ায় ভালো লাগছে।’

(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/জানুয়ারি ১১, ২০১৪)