গুরুতর নয়, সাধারণ ছোটখাটো অপরাধী। আচরণও বেশ ভাল। চার দেয়ালের বাইরের পৃথিবী আবার দেখার জন্য গুনছেন অপেক্ষার প্রহর। সবকিছু ঠিকঠাক, অবশিষ্ট শুধু সম্মতি। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি স্বাক্ষরের অপেক্ষায় ২৭ জন এখনও কারাগারে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।

তারা বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আছেন কারাগারে। ভাল আচরণে সন্তুষ্ট কারা কর্তৃপক্ষ। বিশেষ দু’টি দিন হিসেবে তাদের মুক্তি মিলেছে। বাস্তবে কবে মুক্তি মিলবে তাও কারো জানা নেই।

এদিকে অনেক বন্দির মুক্তির মেয়াদ বাকি ছিল ২/১ মাস। তারা ভাল আচরণের বিশেষ পুরস্কার পাননি। সাজা ভোগ করেই মুক্ত হয়েছেন। তবে তাদের সংখ্যা কত সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কারা) মাইন উদ্দিন খন্দকার দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘প্রতি বছর দু’টি ঈদ, বিজয় ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। এটি একটি রুটিন কাজ। গত ঈদ-উল ফিতর ও বিজয় দিবসে ২৯ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ফাইলটি গেলেও এখনো সম্মতি স্বাক্ষর হয়নি। স্বাক্ষর পাওয়া গেলেই তারা মুক্তি পাবেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গত বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৫ কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য একটি চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়। তাদের তালিকা সম্বলিত প্রতিবেদন তৈরি করে ফাইল আকারে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়। এর আগে ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে মুক্তি পাবেন এমন ১২ বন্দির তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সম্মতি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি স্বাক্ষরের পর ফাইলটি রাষ্ট্রপতির দফতরে যাবে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করার পরই তাদের মুক্তি মিলবে।

জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে ৬৪ বন্দির নামের একটি তালিকা করা হয়। তালিকা পর্যালোচনা শেষে মুক্তির জন্য ১৫ কারাবন্দিকে চূড়ান্ত করা হয়। তালিকায় দুই জন নারীও রয়েছেন। পুরুষ ১৩ জনের অনেকেরই বয়স ৫০ পেরিয়ে গেছে। তারা কারাগারে অনেকটাই অচল ও অক্ষম অবস্থায় আছেন। আর সাজার মেয়াদ শেষ হতে মাত্র কয়েকমাস অবশিষ্ট রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন/এনডিএস/ এনআই/জানুয়ারি ১১, ২০১৪)