দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সরকারি ক্রয়ে তৃতীয় পক্ষের জাতীয় নেটওয়ার্ক গঠন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তৈরি করা এক কৌশলপত্রে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এই কৌশলপত্রটি চূড়ান্ত করতে রবিবার একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সেন্টাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিইউ) মহাপরিচালক অমূল্য কুমার দেবনাথ। অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টিন কাইমস, আইএমইডি সচিব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির আইজিএসের ক্রয় উপদেষ্টা একেএম নাসিরুল হক।

প্রস্তাবিত খসড়া কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের সরকারি ক্রয়বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে একটি জোরালো প্রচার আন্দোলনের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া সর্বস্তরে স্বেচ্ছাব্রতী নাগরিক দল গঠন ও সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত পেশাজীবী ও পরিবীক্ষকদের একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। নাগরিকদের সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তি সহজতর করতে খসড়াটিতে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় সরকারি সংস্থাগুলোর স্ব-উদ্যোগে তথ্য প্রকাশ করার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া কৌশলপত্রে ঠিকাদার, ক্রয় পেশাজীবী ও পরিবীক্ষক দলের সুপারিশ করা হয়েছে।

কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টিন বলেন, প্রস্তাবিত এ কৌশলপত্রটি একটি রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে। কর্মশালার মাধ্যমে বেশকিছু আইডিয়া শেয়ার করে তারপরই চূড়ান্ত করা হবে, যা সরকারী নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সূত্র জানায়, নাগরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়ায় জন-অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ-সম্পদের উত্তম ব্যবস্থাপনা এবং কাজ ও সেবার মান উন্নত করার জন্য ২০০৯ সালে পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকারের নেতৃত্বে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট স্টেকহোল্ডার কমিটি গঠন করা হয়। ২৬ সদস্যের এ কমিটিতে সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এমডি/শাহ/জানুয়ারি ১২, ২০১৪)