ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কোনো নোটিস ছাড়াই ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে তিন সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন।
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বিবাদী স্বাস্থ্য সচিব, ন্যাশনাল ড্রাগস অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি, ওষুধ প্রশাসনের পরিচালকসহ ৭ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটির তালিকা চেয়েছেন আদালত। স্বাস্থ্য সচিবকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটি এবং ন্যাশনাল ড্রাগ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের অধীনে সকল কমিটির তালিকা আদালতে দাখিল করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
‘উচ্চ মূল্যে ওষুধ বিক্রির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে অ্যাসেনশিয়াল কনডিশন অ্যাক্ট ১৯৫৭ এর ৬ ধারা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারা এবং ড্রাগ কন্ট্রোল অধ্যাদেশ ১৯৮২ সালের ১৯ ধারা অনুসারে কেন কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না সে মর্মেও রুল জারি করেছেন আদালত।’
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরশেদ জানান, কোম্পানিগুলো আবারও ওষুধের দাম বাড়িয়েছে সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো যুক্ত করে রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলাম।
প্রসঙ্গত, নভেম্বরের শেষ দিকে কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই কোম্পানিগুলো ওষুধের দাম বাড়িয়েছে, আর ভোগাচ্ছে খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের। জরুরি ও প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। গত এক বছরে ৪ কিস্তিতে ওষুধের দাম বেড়ে তা দ্বিগুণ হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এসএ/ এমডি/এএল/জনিুয়ারি ১২, ২০১৪)