দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : টানা ২ ম্যাচ জেতার পর ব্রাদার্সের কাছে হোঁচট খেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল। রবিবার গোপীবাগের দলটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। চলতি লিগে এটি ব্রাদার্সের প্রথম জয়। আগের ২ ম্যাচে আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের কাছে হেরেছিল কমলা শিবির।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে উত্তর বারিধারা এবং দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছিল শেখ রাসেল। টানা ২ জয়ে এবারও শিরোপার দাবিদার হিসেবে নিজেদের পরিচয় করিয়েছিলেন তাদের ফুটবলাররা। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে ব্রাদার্সের বিপক্ষে অপরিচিত মনে হয়েছে ব্লুজ শিবিরের ফুটবলারদের।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে গোল না হলেও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ব্রাদার্স। ১৯ মিনিটে ভালো সুযোগও এসেছিল তাদের। প্রতিপক্ষের বিপদ সীমানায় জুয়েল রানার কাছ থেকে বক্সে বল পেয়েছেন ঘানাইয়ান ডিফেন্ডার ইসা ইউসুফ। গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্যকে একা পেয়েও এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ইসার দুর্বল শট খুব সহজেই লুফে নিয়েছেন বিপ্লব। ৩৪ মিনিটে ফের সুযোগ আসে গোপীবাগের দলটির। ফয়সাল মাহমুদের ক্রসে এবার বক্সে বিপ্লবকে একা পেয়েছেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কেস্টার একন। কিন্তু তার হেডে বল জাল খুঁজে পায়নি।

৩৯ মিনিটে এবার সুযোগ এসেছে শেখ রাসেলের। মরোক্কান ফরোয়ার্ড ইউনিস রক্সের কাছ থেকে বল পেয়ে মিঠুন চৌধুরীর শট পোস্ট ঘেঁষে মাঠের বাইরে না গেলে এগিয়ে যেতে পারতো ব্লুজ শিবির।

বিরতির পর বেশ গুছিয়ে খেলা শুরু করে শেখ রাসেলের ফুটবলাররা। কিন্তু ব্রাদার্সের শক্তিশালী ডিফেন্স গলে আক্রমণ গোলে পরিণত করতে পারেননি মারুফুল হকের শিষ্যরা। ৫৭ মিনিটে বক্সের মধ্যে থেকে ইউনিস রক্সের শট পোস্ট ঘেঁষে মাঠে বাইরে চলে গেছে। ৭৩ মিনিটে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে কমলা শিবির। প্রতিপক্ষের বিপদ সীমানায় কেস্টার একনের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছেন রুবেল মিয়া। তার কোনাকুটি শটে শেখ রাসেলের গোলরক্ষক বিপ্লব বুঝে ওঠার আগেই বল জালে জড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত গোল আর পরিশোধ করতে পারেনি শেখ রাসেল।

হারের কারণ হিসেবে রেফারিকে দায়ী করছেনে শেখ রাসেলের কোচ মারুফল হক। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘হারলেও লিগ রেস থেকে ছিটকে যাই। ২৭ ম্যাচের লিগ। এখনও অনেক পথ বাকি। সবাই কম-বেশি হোঁচট খাবে। এ মুহূর্তে আমাদের সমস্যা ইনজুরি। রজনী, মামুন মিয়া, শাকিল, ইমরোজ, বিদেশি ম্যাক্সিম ও ফ্রান্সিসকো প্র্যাকটিসে চোট পেয়েছেন। ফলে নতুন করে একাদশ সাজাতে হয়েছে। তা ছাড়া শুরুতেই রেফারি পেনাল্টি বঞ্চিত করেছে। গোলটা হতো না, আনোয়ারকে ফাউল করা হলেও এড়িয়ে গেছেন রেফারি। ফলে রুবেল বল পেয়ে যায়। স্বাভাবিক খেলা হলে গোলটা হতো না।’

অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নদের হারাতে পেরে খুব একটা খুশি হতে পারেননি ব্রাদার্সের ভারতীয় কোচ নঈমুদ্দিন। তিনি বলেছে, ‘জিতলেও খুব বেশি খুশি না। আরও পথ যেতে হবে। প্রতি ম্যাচ ধরে লড়াকু ফুটবল খেলতে হবে। ছেলেদের বলেছি শেষ পর্যন্ত সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা কর। জয়টাকে সৌভাগ্যপ্রসূত বলব না। আমাদের মতো ওরাও সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু আমাদের গোলরক্ষক ভালো খেলেছে। তার প্রশংসা করতেই হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/ এনঅই/জানুয়ারি ১২, ২০১৪)